বৈরুতের বিস্ফোরণ ভয়াবহ হামলা বলে মনে হচ্ছে: ট্রাম্প

Donald Trump
হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৪ আগস্ট ২০২০। ছবি: রয়টার্স

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের বিবরণ দিতে গিয়ে এটিকে ‘ভয়াবহ হামলা’র মতো দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হোয়াইট হাউজে ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘লেবাননকে সর্বোচ্চ সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত আছে। এটি একটি “ভয়াবহ হামলা”র মতো দেখাচ্ছে।’

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে ট্রাম্প জানান, কয়েকজন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তাদের মতে, এটি কোনো ‘কারখানা থেকে ঘটা দুর্ঘটনা’-র মতো বিস্ফোরণ নয়।

নাম উল্লেখ না করে কয়েকজন জেনারেলের বরাতে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘এটাকে এক ধরনের হামলা বলে মনে হচ্ছে। এক ধরনের বোমা হামলার মতো।’

এ দিকে পেন্টাগনের দুই কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে রয়টার্সকে জানান, ট্রাম্প কোথা থেকে এমন তথ্য পেলেন তা স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে এটাকে হামলা বলে মনে হচ্ছে না।

ওই দুই কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত লেবানন যা তথ্য দিচ্ছে সেগুলো যাচাই করে অসত্য কিছু পাওয়া যায়নি। তবে, এখনই এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। সময়ের সঙ্গে ঘটনার অন্য কারণও বের হয়ে আসতে পারে বলে মনে করেন তারা।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গণমাধ্যমকে জানান, লেবানন সরকার বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান করে দেখছে। যুক্তরাষ্ট্র সেই ফলাফলের অপেক্ষায় আছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার বৈরুতে বিস্ফোরণের বিবরণ দিতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘হামলা’ শব্দটি ব্যবহার করায় উদ্বেগ জানিয়েছে লেবানন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপকালে লেবাননের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বৈরুতের বন্দরের একটি আতশবাজির গুদামে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে লেবানন।

ছয় বছর ধরে সেখানকার একটি গুদামে ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ‘অনিরাপদভাবে’ মজুত রাখা ছিল বলে জানিয়েছেন লেবাবননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। ওই বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ২০১৩ সালে বন্দরে অভিযান চালিয়ে একটি জাহাজ থেকে নামানো হয়েছিল। সেখানকার একটি গুদামে এগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Pilots faked flying records

CAAB inquiry finds, regulator yet to take action

11h ago