হয় পাকিস্তানে খেলব, নয়তো খেলবই না: মানি

পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি স্পষ্ট করে বলেছেন, আগামীতে ঘরের মাঠের আন্তর্জাতিক সিরিজগুলো নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে খেলবে না দলটি।
pakistan and england
ছবি: এএফপি

পাকিস্তানকে ‘নিরাপদ’ হিসেবে উল্লেখ করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান এহসান মানি স্পষ্ট করে বলেছেন, আগামীতে ঘরের মাঠের আন্তর্জাতিক সিরিজগুলো নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে খেলবে না দলটি।

২০০৫ সালের পর গেল ১৫ বছরে আর পাকিস্তান সফরে যায়নি ইংল্যান্ড। ইংলিশদের বিপক্ষে সবশেষ দুটি হোম সিরিজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে আয়োজন করেছে পাকিস্তান। মূলত, নিরাপত্তা শঙ্কার কারণেই নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে সিরিজগুলো। ২০২২ সালে আবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের সূচি রয়েছে পাকিস্তানের।

দুই বছর পরের ওই সিরিজটি তৃতীয় কোনো দেশে আয়োজন করতে রাজি নয় পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে পিসিবি প্রধান মানি জানিয়েছেন, সিরিজটি নিজ দেশেই খেলবে পাকিস্তান, না হয় খেলবে না!

‘আমার মনে হয় না ইংল্যান্ডের (পাকিস্তানে) না আসার কোনো কারণ আছে। আমি অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, আমরা তৃতীয় কোনো দেশে খেলব না। হয় আমরা পাকিস্তানে খেলব, নয়তো খেলবই না।’

২০০৯ সালে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের উপর বন্দুকধারীদের হামলার পর দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল পাকিস্তানে। ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরে দেশটিতে। এরপর নিজেদের মাটিতে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তারা। তবে টেস্ট সিরিজ আয়োজন করতে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হয় আরও লম্বা সময়।

ehsan mani
ছবি: এএফপি

গেল বছরের শেষদিকে এক দশক পর প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণে খেলার স্বাদ নেয় পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ ছিল সেই শ্রীলঙ্কাই। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশও সেখানে গিয়ে খেলেছে টেস্ট সিরিজ। একই মাসে পাকিস্তান সফর করেছে এমসিসির একটি দল, যার নেতৃত্বে ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা, যিনি ২০০৯ সালে হামলার শিকার হওয়া লঙ্কান দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।

সাম্প্রতিক সিরিজগুলো সফলভাবে আয়োজন করায় আইসিসির সাবেক সভাপতি মানি জোর দিয়ে বলেছেন, আগামীতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরার অবস্থা তৈরি হবে।

‘পাকিস্তান নিরাপদ। যে দলগুলো এখানে এসেছে, তাদেরকে আমরা কড়া নিরাপত্তা দিয়েছি, ঠিক যেমন কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে দেওয়া হয়ে থাকে।’

‘এমসিসি দল এখানে আসার পর তারা বাইরে বেরিয়ে গলফ খেলতে চেয়েছিল। তারা ঘুরতে বেরিয়েছে ও রেস্টুরেন্টে গিয়েছে। ইংল্যান্ড আসার আগে আমরা দুই বছর সময় পেয়েছি। আমি আশা করি, ততদিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং চলাফেরায় আরও স্বাধীনতা থাকবে।’

উল্লেখ্য, আগামী ২০২২ সালের শেষদিকে পাকিস্তানের মাটিতে তিনটি টেস্ট এবং পাঁচটি ওয়ানডে খেলতে যাওয়ার কথা রয়েছে ইংল্যান্ডের।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

5m ago