মেজর সিনহা হত্যা মামলা

৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর হলেও ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি এখনো কারাগারে

oc_pradeep.jpg
প্রদীপ কুমার দাস। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ তিন আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হলেও, গতকাল আত্মসমর্পনকৃত সাত আসামির সবাই বর্তমানে কক্সবাজার জেলা কারাগারে আছেন।

আজ শুক্রবার র‌্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। চার আসামিকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাদের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে র‌্যাব। তবে, কাউকে এখনো রিমান্ডে নেওয়া হয়নি।’

সিনহা হত্যা মামলার আসামিদের রিমান্ডের বিষয়ে আদালত থেকে এখনো কোনো কাগজপত্র কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আসেনি বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আসামি সাত জনই জেলা কারাগারে বন্দি আছেন। রিমান্ডের আসামিদেরকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করার জন্য এখনো কোনো ধরণের আইনি অনুমতি বা আদালতের নির্দেশনা হাতে পৌঁছেনি।’

‘আদালত থেকে আদেশের কপি হাতে আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’, যোগ করেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি ওসি প্রদীপসহ সাত জন টেকনাফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওই সাত আসামির প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার জামিল উল হক।

শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দীন তিন আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী ও নন্দ দুলাল রক্ষিতের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপর চার আসামি সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও লিটন মিয়ার রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। প্রয়োজনে জেল গেটে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিও দেন আদালত।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর পক্ষ থেকে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনহা হত্যা মামলার আসামি ওসি প্রদীপসহ তিন জনকে সাত দিনের রিমান্ড ও বাকি চার আসামিকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত।’

তিনি আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ পাওয়া চার জনেরও রিমান্ড মঞ্জুর করার জন্য রাতে র‌্যাবের পক্ষ থেকে আরও একটি পিটিশন দায়ের করার কথা শুনেছি। তবে, আদালত আদেশ দিয়েছে কি না জানি না। তখন আমি উপস্থিত ছিলাম না।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী রাখাল চন্দ্র মিত্র বলেন, ‘রিমান্ডের আগের আদেশই বহাল আছে।’

মামলার আসামি পুলিশের উপপরিদর্শক টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি। তারা দুই জন পলাতক আছেন।

Comments

The Daily Star  | English

BNP hails AL ban, urges speedy trials

Fakhrul seeks election roadmap, citing public frustration over the lack of democratic process

57m ago