তাবলীগ জামাতের আটক ১৪ সদস্যকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাল ভারত

ভারতে আটক তাবলীগ জামাতের ২৬৫ জন বাংলাদেশি সদস্যের মধ্যে ১৪ জনকে গতরাতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফিরছেন ভারত থেকে ফেরত পাঠানো তাবলীগ জামাতের সদস্যরা। ছবি: স্টার

ভারতে আটক তাবলীগ জামাতের ২৬৫ জন বাংলাদেশি সদস্যের মধ্যে ১৪ জনকে গতরাতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় ভারতের পেট্রপোল ইমিগ্রেশন তাদের কার্যক্রম শেষ করে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। ফেরত আসা প্রত্যেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী ছিলেন।

তাদেরকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য যশোরের ঝিকরগাছার গাজীর দরগাহে রাখা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্র জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৬৫ জন তাবলীগ জামাতের কর্মী পাসপোর্ট যাত্রী হিসেবে ভারতে যান। ভারতে করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় তারা সেখানেই অবস্থান করছিল।

তাবলীগের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তারা। পরে সেদেশের পুলিশ তাদের আটক করে উত্তর প্রদেশের কেন্দ্রীয় জেলখানায় পাঠায়। সেখানকার আদালত তাদের এক মাস ১০ দিনের সাজা দেয়। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনার পর আজ তারা দেশে ফিরে আসেন।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন খান বলেন, ‘ভারতে আটক তাবলীগ জামাতের ১৪ বাংলাদেশি সদস্যকে ভারত আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। ফেরত আসা তাবলীগ সদস্যরা করোনা আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষার জন্য ইমিগ্রেশন মেডিকেল অফিসে পাঠানো হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের মেডিকেল অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ফেরত আসা তাবলীগ সদস্যদের প্রাথমিকভাবে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। যেহেতু তারা দীর্ঘদিন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গণজমায়েতের মধ্যে ছিলেন এবং ৪০ দিন কারাগারে ছিলেন তাই তাদের ১৪ দিনের জন্য সরকারি তত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। শঙ্কামুক্ত হলে ১৪ দিন পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago