‘ডাঙ্গায়’ পাশাপাশি দুটি কালভার্ট বানাচ্ছে পাবনা সড়ক ও জনপথ
পাবনার সদর উপজেলার কলাদি জামতলী বাজার এলাকায় পাবনা-সুজানগর আঞ্চলিক সড়কের পাশে এক সময় একটি খাল ছিল। এখন খালের চিহ্ন থাকলেও পানির দেখা পাওয়া যায় না। তবু ১.৪ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি বড় কালভার্ট ভেঙে নতুন করে বানাচ্ছে সড়ক ও জনপথ।
সরকারি দপ্তরের এমন সিদ্ধান্তে স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্মিত হয়েছেন। তারা মনে করছেন, একই জায়গায় দুটি অপ্রয়োজনীয় কালভার্ট পুনঃনির্মাণ শুধুই সরকারি অর্থের অপচয়। প্রকল্প নেওয়ার আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে এমন ভুল হতো না।
গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. সাঈদ-উল-ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এক সময় এখানে খাল ছিল। গ্রামের কৃষকরা সেই খালের পানিতে চাষাবাদ করতেন। ধীরে ধীরে খালের দুপাশ বাড়ি-ঘর গড়ে উঠেছে। কয়েক দশক ধরে এই খালে পানি নেই। কৃষি কাজে এখন ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহার করা হয়।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ১.৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত দুটি কালভার্ট পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু করে। বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম সামসুজ্জোহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আগামী দুই মাসের মধ্যে কালভার্ট ও এর সংযোগ সড়ক চলাচলের উপযোগী হবে।’
এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে চাইলে একেএম সামসুজ্জোহা বলেন, ‘আশির দশকে রাস্তার দুপাশে যেন পানি যাওয়া-আসা করতে পারে তাই দুটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। কালভার্ট দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। এক সময় এখানে পানি থাকলেও বর্তমানে নেই। যেহেতু পানির প্রবাহের উৎস আছে তাই কালভার্ট দুটি বাদ দেওয়া হয়নি।’
ভারারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দীর্ঘ দিন থেকে এখানে পানি নেই। সড়ক বিভাগ প্রয়োজন মনে করলে একটি কালভার্ট নির্মাণ করতে পারতো। একই জায়গায় দুটি বড় কালভার্ট নির্মাণ সরকারি অর্থ নষ্ট ছাড়া কিছুই না। এই নির্মাণ কাজ শুরু করার আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা উচিত ছিল। গ্রামবাসীর কাছে এই প্রকল্প একেবারে অর্থহীন।’
একেএম সামসুজ্জোহা আরও বলেন, ‘এটা যেহেতু নতুন প্রকল্প না, তাই প্রকল্পপূর্ব জারিপ করার প্রয়োজন ছিল না। পুরনো নকশায় নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।’
Comments