অন্য প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অনুমতি লাগবে: ইউজিসি
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের চাকরিবিধি ও প্রবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকরা অন্য কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগতভাবে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বা কোনো ধরনের লাভজনক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত হতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি।
এছাড়াও করোনাভাইরাস মহামারিতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমে চালিয়ে যাওয়ার জন্য অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সহায়তা প্রয়োজন এমন শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৪৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে পাঠানো তিনটি চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে কেউ কেউ অনুমতি ছাড়াই চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন, যা ইউজিসির নজরে এসেছে। কেউ কেউ আবার ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করছেন, যা চাকরি বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ইউজিসি আরও জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার জন্য প্রতি অর্থবছরে সরকার অর্থ বরাদ্দ করে থাকে। গবেষণা প্রকল্প আহ্বান ও জমা পড়া গবেষণা প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করে সেগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুদান দিয়ে থাকে। তবে কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ নিয়মটি অনুসরণ না করার বিষয়টি ইউজিসির নজরে এসেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
গবেষণা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ যেন কেবল অনুমোদিত গবেষণা প্রকল্পের কার্যক্রমেই ব্যয় করা হয়, তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে ইউজিসি।
এর আগে, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানিয়েছিল ইউজিসি। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে যাতে সব শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারে, সে লক্ষ্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধাসহ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ ও স্মার্টফোন দেওয়ার জন্য অনুদান চেয়ে কমিশন থেকে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর চিঠি পাঠানো হয়।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করার জন্য যেসব শিক্ষার্থীর আর্থিক সক্ষমতা নেই, কেবল তাদের একটি নির্ভুল তালিকা আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে ইউজিসিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Comments