‘মরিয়া হয়ে আছি খেলার জন্য’

জাতীয় দলের খেলোয়াড় সাব্বির রহমানের কণ্ঠে ফুটে উঠল খেলায় ফিরতে চাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা।
sabbir rahman
ছবি: বিসিবি

করোনাভাইরাসের ধাক্কায় লম্বা সময় ধরে কোনো খেলা নেই। না ঘরোয়া পর্যায়ে, না আন্তর্জাতিক। স্বাভাবিকভাবেই তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা আছেন ক্রিকেটে ফেরার অধীর অপেক্ষায়। আবার মাঠে নামতে মুখিয়ে রয়েছেন তারা। জাতীয় দলের খেলোয়াড় সাব্বির রহমানের কণ্ঠেও ফুটে উঠল খেলায় ফিরতে চাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা।

ক্রিকেটারদের দ্বিতীয় ধাপের একক অনুশীলনের দ্বিতীয় দিনে রবিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান বলেছেন, খুব শিগগিরই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার প্রতীক্ষায় আছেন তিনি।

‘মূলত অনেক দিন ধরেই আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধ হয়ে আছে। কারণ হচ্ছে কোভিড-১৯। সব খেলোয়াড়ই তাকিয়ে আছে (খেলা) কবে শুরু হবে (সেই দিকে)। মাঝে মাঝে হতাশাও কাজ করছে। তবে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন খেলেছে, তখন খুব ভালো লেগেছে। (এটা ভেবে) যে, খেলা তো অন্তত শুরু হয়েছে।’

‘আশা করছি, আমাদের দেশের এবং অন্যান্য দেশের সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে, তাহলে খুব শিগগিরই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলব। আমরা খুবই উজ্জীবিত হয়ে আছি খেলার জন্য। খুব মরিয়া হয়ে আছি। তাই আমরা অনুশীলন করছি নিজেদের ফিট রাখার জন্য, (সামনে) ভালো কিছু করার জন্য। আশা করি, খেলা শুরু হয়ে যাবে এবং ভালো কিছু করব।’

ঈদের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে ক্রিকেটারদের একক অনুশীলন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের অনুশীলন শুরু হয়েছে গতকাল শনিবার থেকে। গেল মাসে অনুশীলনে ফেরাদের সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছেন সাব্বিরসহ আরও কয়েকজন।

আপাতত ছয় দিনের (৮-১৩ অগাস্ট) অনুশীলন সূচি বিসিবি প্রকাশ করেছে। সব খেলোয়াড়কে আলাদা করে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। গেল মার্চের পর আবার অনুশীলনে ফিরে সাব্বির জানিয়েছেন, ভীষণ খুশি লাগছে তার।

sabbir rahman
ছবি: বিসিবি

‘চার মাস পর মাঠে আসা। ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর স্টেডিয়ামে। অনুভূতি (ভাষায়) প্রকাশ করতে পারব না। খুব ভালো লাগছে। অনেক দিন পর অনুশীলন শুরু করলাম। একটু ব্যাটিং অনুশীলন করলাম ইনডোরে।’ 

‘বিসিবি যে নির্দেশনা দিয়েছে, যেমন- তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, সেগুলো আমরা মেনে চলছি। খুব ভালো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। (নির্দিষ্ট সময়ে) একজন করে (অনুশীলন করছে)। সবাই সবার মতো সময় মেনে চলছে।’

করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরপরই রাজশাহীতে চলে গিয়েছিলেন সাব্বির। তবে সেখানে গিয়ে একেবারে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকেননি তিনি। সুরক্ষা নিশ্চিত করে ফিটনেস ঠিক রাখতে অনেক কাজ করা হয়েছে তার।

‘আমার বাড়ি রাজশাহী। গেল ২৫ মার্চ আমি রাজশাহীতে চলে গিয়েছিলাম। এরপর ওইখানে শুরুতে অনুশীলন করার খুব বেশি সুযোগ-সুবিধা পাইনি। করোনার জন্য আমি নিজেকে বাসায় বন্দি রেখেছিলাম। তবে বাসায় জিমের কিছু কাজ করেছি।’

‘পরবর্তীতে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামের ইনডোর একা একা ব্যবহার করেছি। জিম ব্যবহার করেছি ক্লেমনের (রাজশাহী ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমি)। এভাবে নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করেছি। শেষদিকে রানিংয়ের জন্য বাসার সিঁড়িটা কাজে লাগিয়েছি। তা ছাড়া, ওইখানে সেরিকালচার নামে একটা জায়গা আছে। সেখানকার মাঠটাতেও আমি অনুশীলন করেছি।’

Comments

The Daily Star  | English

World Bank ready to be part of key economic reforms in Bangladesh: VP

The World Bank is 'excited' by the interim government's reform agenda and 'it is worth visiting Bangladesh right now', says Martin Raiser

52m ago