ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১১ দফা দাবি
সংবিধানে ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, জাতীয় সংসদে শতকরা ৫ ভাগ অর্থাৎ ১৫টি সংরক্ষিত আসন বরাদ্দসহ ১১ দাবি জানিয়েছে টাঙ্গাইলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সংগঠনগুলো।
‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস’ উপলক্ষে আজ রবিবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি জানানো হয়।
জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ, ইউসিজিএম, টিডব্লিউএ, এসিভিএফ, থাংআনী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন, আবিসা আদিবাসী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন, বাগাছাস, গাসু, জিএসএফ ও আচিক মিচিক সোসাইটি এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, করোনাকালে অত্যন্ত খারাপ অবস্থার দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা। বাড়িতে খাবার নেই, বাইরে কাজ নেই, শহরে চাকরি নাই এমনকি সরকার কিংবা অন্য কোন সংস্থার সহায়তাও পর্যাপ্ত নয়। ফলে, বৃহত্তর ময়মনসিংহে কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবে হাজার হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী-পুরুষ আজ কর্মহীন হয়ে বাড়ীতে বসে আছে। বিশেষ করে বিউটি পারলার, পোশাক খাত, বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ হারিয়ে অভাব-অনটনে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নিলেও তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমানে সহায়তা পৌঁছাচ্ছে না।
সম্মেলনে উত্থাপন করা অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে, সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনসহ তাদের মধ্যে একজনকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া, ভূমির অধিকার রক্ষায় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে পৃথক ভূমি কমিশন গঠন, সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারীদের মনোনয়ন দেওয়া, আইএলও কনভেনশন নং ১০৭ এর আলোকে আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন পূর্বক তা বাস্তবায়ন করা, বংশানুক্রমিক স্বত্ব দখলীয় ও সরকারি খাস জমিসমূহের আইনগত স্বীকৃতি প্রদান করা এবং বর্তমানে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে সুনির্দিষ্ট প্রণোদনা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের এসব দাবি পূরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর দেয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, মধুপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, পীরগাছা থাংনা কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিকেন মৃ, আইনজীবী এমএ করিম মিঞা, পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলার প্রতিনিধি গৌতম চন্দ্র চন্দসহ কয়েকটি ‘আদিবাসী’ সংগঠনের নেতারা।
Comments