সিনহা হত্যায় পুলিশের মামলার ৩ সাক্ষীকে কারাগারে প্রেরণ
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার কক্সবাজারের মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে র্যাব তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর বিকেলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কক্সবাজারে টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।
এই তিন জন হলেন--টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন, মোহামমদ আয়াজ ও নেজাম উদ্দীন। তারা স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশের সদস্য বলে সূত্র জানায়।
৩১ জুলাই মেজর (অব.) সিনহা মেরিন ড্রাইভের একটি চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর, সিনহা ও তার সঙ্গে থাকা সিফাতের বিরুদ্ধে মাদক ও পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় মামলা করে পুলিশ। উপপরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিতের দায়ের করা ওই মামলায় এই তিন জনকে সাক্ষী দেখানো হয়েছিল।
আজ বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজারের মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে র্যাব তাদের গ্রেপ্তার করে বলে বাহিনীটির পরিচালক (মিডিয়া উইং) লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান।
র্যাব পরিচালক জানান, আজ বিকেল সোয়া চারটার দিকে কক্সবাজারে টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাবের এএসপি জামিল উল হক।
আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন আগামীকাল রিমান্ড আবেদনের শুনানির তারিখ ধার্য করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনায় তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস গত ৫ আগস্ট পুলিশের বরখাস্তকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ নয় জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওসি প্রদীপ কুমার ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ সাত পুলিশ সদস্যকে এর আগে এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। আজ আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
আরও পড়ুন:
সিনহা হত্যায় পুলিশের মামলার ৩ সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
Comments