মৃত্যু ৭ লাখ ৫৯ হাজার, আক্রান্ত প্রায় ২ কোটি সাড়ে ৯ লাখ
বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে সাত লাখ ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দুই কোটি সাড়ে নয় লাখ। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন এক কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ।
আজ শুক্রবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি নয় লাখ ৩৬ হাজার ৪১ জন এবং মারা গেছেন সাত লাখ ৫৯ হাজার ৭১৬ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৩০ লাখ ছয় হাজার ৮৪১ জন।
করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ লাখ ৫৪ হাজার ১৭১ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৬৭ হাজার ২৪২ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৬৪৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ লাখ ২৪ হাজার ৮৭৬ জন, মারা গেছেন এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৫ লাখ ২১ হাজার ১০০ জন।
মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয়তে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৫ হাজার ২৯৩ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার ৭৫১ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ছয় হাজার ৫৮৩ জন।
মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে চতুর্থতে থাকা যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৭৯১ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ১৫ হাজার ৬০০ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৭৯ জন।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ লাখ ৬১ হাজার ১৯০ জন, মারা গেছেন ৪৮ হাজার ৪০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৫ জন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পেরু ও চিলিতেও। রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন নয় লাখ ১০ হাজার ৭৭৮ জন, মারা গেছেন ১৫ হাজার ৪৬৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ২১ হাজার ৪৭৩ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৭২ হাজার ৮৬৫ জন, মারা গেছেন ১১ হাজার ২৭০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৩৭ হাজার ৬১৭ জন।
পেরুতে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ সাত হাজার ৯৯৬ জন, মারা গেছেন ২৫ হাজার ৬৪৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৪১ হাজার ৯৩৮ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৮০ হাজার ৩৪ জন, মারা গেছেন ১০ হাজার ২৯৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৫৩ হাজার ১৩১ জন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৩৬ হাজার ৩২৪ জন, মারা গেছেন ১৯ হাজার ১৬২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৯২ হাজার ৫৮ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৫ জন, মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৯১২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ২৮ হাজার ৫৭ জন।
ইউরোপের দেশ স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৩৭ হাজার ৩৩৪ জন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ৬০৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫২ হাজার ২৩৫ জন, মারা গেছেন ৩৫ হাজার ২৩১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ দুই হাজার ৯২৩ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪৪ হাজার ৯৬ জন, মারা গেছেন ৩০ হাজার ৩৯২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৩ হাজার ৬১২ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ৩৯৭ জন, মারা গেছেন নয় হাজার ২২৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ২৫৬ জন।
ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ১৪৪ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৭০০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮২ হাজার ৮০৪ জন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই লাখ ৬৯ হাজার ১১৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন তিন হাজার ৫৫৭ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৮৭১ জন।
Comments