অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে চট্টগ্রাম মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিত্সকরা
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) আহবায়কের ওপর হামলার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। গতকাল গভীর রাতে চমেক ছাত্রলীগের একাংশ এ হামলা চালিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
আইডিএ এর যুগ্ম-আহ্বায়ক ও চমেক কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহসভাপতি এম এ আউয়াল রাফি জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন্দরনগরীর গুলজার মোড় এলাকায় চমেক ছাত্রলীগের কয়েকজন লাঠি ও বোতল দিয়ে আইডিএ আহ্বায়ক ওসমান গণি ও পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী সানি হাসনাইন প্রান্তিকের ওপর হামলা চালায়।
সন্ধ্যায় চমেকের মূল ছাত্রাবাসে তাদের ওপর আরেকবার হামলা হয়েছিল এবং এ সময় তারা দুই জন ওই ঘটনায় মামলা করতে চকবাজার থানায় যাচ্ছিলেন বলে এম এ আউয়াল রাফি জানান।
‘হামলায় আহত দুই নেতা চমেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং এ হামলার প্রতিবাদে আইডিএ সকাল থেকেই কর্মবিরতি পালন করছেন,’ যোগ করেন তিনি।
হামলাকারী কারা ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা মেডিকেল শিক্ষার্থীর ছদ্মবেশে দুর্বৃত্ত, যারা ক্যাম্পাসে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করবে, ততক্ষণ আমরা আমাদের প্রতিবাদ হিসেবে কর্মবিরতি পালন করবো।’
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মূল ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ রাতে ছাত্রাবাস খালি করে দেয়। এ ঘটনার পর এক গ্রুপের সদস্যরা অন্য গ্রুপের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় মামলা করতে যাওয়ার সময় তাদের ওপর অপর গ্রুপের সদস্যরা হামলা চালালে ওসমান ও প্রান্তিক আহত হন।
যোগাযোগ করা হলে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির জানান, চমেকের সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে আজ সন্ধ্যায় একটি সভা ডেকেছেন। সেখানে ছাত্রনেতারাও উপস্থিত থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধান হবে এবং আইডিএ কর্মবিরতি তুলে নেবে।’
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে পালন করায় রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবায় তেমন কোন ‘প্রভাব'’পড়েনি। কারণ সরকারি চিকিৎসক এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছেন।
আগের ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এখনও হাসপাতালে আছেন এবং তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন বলেও জানান তিনি।
Comments