বায়ার্ন ৮, বার্সা ২: দেখে নিন পরিসংখ্যান
চোখ কপালে তোলার মতো এক ম্যাচের দেখা মিলল। সাম্প্রতিক ছন্দ বিচারে বায়ার্ন মিউনিখ বার্সেলোনার চেয়ে এগিয়ে থাকলেও এমন ফল অবিশ্বাস্যই বটে! উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে কাতালানদের জালে গুণে গুণে আটবার বল জড়াল বাভারিয়ানরা। একপেশে লড়াইয়ে লিওনেল মেসিদের গুঁড়িয়ে দিয়ে দারুণ কিছু কীর্তিও গড়ল হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
শুক্রবার রাতে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের স্তাদিও দা লুজে বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বায়ার্ন।
জার্মান ক্লাবটির পক্ষে জোড়া গোল করেন টমাস মুলার ও ফিলিপে কৌতিনহো। একবার করে লক্ষ্যভেদ করেন ইভান পেরিসিচ, সার্জ গ্যানাব্রি, জশুয়া কিমিচ ও রবার্ট লেভানডভস্কি। প্রথমার্ধে ডেভিড আলাবার আত্মঘাতী গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার হয়ে জালের দেখা পান লুইস সুয়ারেজ।
দুই অর্ধে চারটি করে গোল হজম করে কিকে সেতিয়েনের দল। বিশাল ব্যবধানে হেরে কোনো শিরোপা ছাড়া ২০১৯-২০ মৌসুম শেষ করল স্প্যানিশ ক্লাবটি।
পরিসংখ্যানে বায়ার্ন-বার্সেলোনার ১০ গোলের ম্যাচ:
১. ১৯৯২ সালে শুরু হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (এর আগে ইউরোপিয়ান কাপ নামে পরিচিত ছিল ইউরোপের সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতাটি) ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে নক-আউট পর্বে আট গোল করার কীর্তি গড়ল বায়ার্ন। শেষবার এই আসরে আট বা তার চেয়ে বেশি গোল করার নজির গড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ১৯৯০-৯১ মৌসুমের ইউরোপিয়ান কাপের শেষ ষোলোতে অস্ট্রিয়ার এফসি ওয়াকার ইন্সব্রুকের বিপক্ষে তারা জিতেছিল ৯-১ গোলে।
২. ৭৪ বছর পর কোনো ম্যাচে আট গোল হজম করল বার্সেলোনা। ১৯৪৬ সালে কোপা দেল রেতে সেভিয়ার কাছে ৮-০ গোলে হেরেছিল কাতালানরা।
৩. ১৯৫১ সালের পর এই প্রথম ছয় গোলের ব্যবধানে হারল বার্সা। ওই বছরের এপ্রিলে স্প্যানিশ লা লিগায় শহর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলের কাছে ৬-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল তারা।
৪. ১২তম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল বায়ার্ন। তাদের চেয়ে বেশি সংখ্যক বার শেষ চারে খেলেছে প্রতিযোগিতার সফলতম দল রিয়াল মাদ্রিদ (১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন)। লস ব্লাঙ্কোসরা সেমিতে নাম লিখিয়েছে ১৩ বার।
৫. বায়ার্নের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি বার্সেলোনার ষষ্ঠ হার। ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরে অন্য যেকোনো ক্লাবের চেয়ে জার্মান লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের কাছে বেশি ম্যাচ হেরেছে তারা। বায়ার্নের বিপক্ষে বার্সার জয় মাত্র দুটি ম্যাচে। ড্র হয়েছে একটি।
Comments