ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে হারানোর চেয়েও এটা ভালো: মুলার

বার্সেলোনার বিপক্ষে ৮-২ গোলে জয়ের ম্যাচে জার্মান ফরোয়ার্ড ঠাঁই নিলেন রেকর্ডের পাতায়।
thomas mueller
ছবি: এএফপি

লড়াইটা হওয়ার কথা ছিল লিওনেল মেসি আর রবার্ট লেভানডভস্কির মধ্যে। তাদেরকে পেছনে ফেলে কেন্দ্রীয় চরিত্রে আবির্ভূত হলেন বায়ার্ন মিউনিখের টমাস মুলার।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৮-২ গোলে জয়ের ম্যাচে জার্মান ফরোয়ার্ড ঠাঁই নিলেন রেকর্ডের পাতায়। নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখানোর পর তিনি গোপন করেননি নিজের ভালোলাগাও। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে মুলার বলেছেন, ব্রাজিলের বিপক্ষে ৭-১ গোলের জয়ের চেয়েও মধুর অনুভূতি হচ্ছে তার।

শুক্রবার রাতে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ৩০ বছর বয়সী তারকা গোল করেন দুটি। একপেশে লড়াইয়ের চতুর্থ ও ৩১তম মিনিটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।

২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল জার্মানি। সেদিন দলের গোল উৎসবের সূচনা করেছিলেন মুলার। ওই সুখস্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেছেন, ‘আমরা (জার্মানি) ব্রাজিলের বিপক্ষে যখন খেলেছি, তখনও আমাদের এতটা নিয়ন্ত্রণ ছিল না, যতটা ছিল আজ (শুক্রবার) রাতে।’

‘আপনি কখনোই বার্সেলোনাকে পুরোপুরি আটকে দিতে পারবেন না। তবে আমরা তাদের মাঝমাঠকে সত্যিকার অর্থেই কোনো জায়গা দেইনি, আমরা যা করতে চেয়েছিলাম, সেটাই করেছি।’

অসাধারণ জয়ের রাতে জার্মান ফুটবলারদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তিও গড়েছেন মুলার। এতদিন সাবেক তারকা ডিফেন্ডার ফিলিপ লামের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন তিনি। লিসবনের স্তাদিও দা লুজে ১১৩তম ম্যাচে মাঠে নেমে তিনি এককভাবে উঠে গেছেন চূড়ায়।

তবে রেকর্ড নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছেন না মুলার, ‘আমাদের রেকর্ড নিয়ে কথা বলা বন্ধ করা দরকার। এটি তো কেবল একটি পরিসংখ্যান। ম্যাচটি সম্পর্কে বলার মতো অনেক সুন্দর সুন্দর বিষয় রয়েছে।’

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নয় ম্যাচ খেলে সবকটিতে জিতেছে বায়ার্ন। হ্যান্সি ফ্লিকের দলকে আসরের শিরোপা জয়ের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। তবে মুলার পা রাখছেন মাটিতেই, ‘আমি খুশি যে আমরা এমন চাপের মধ্যে এ ধরনের পারফরম্যান্স করতে পেরেছি।’

‘আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এটি (প্রতিযোগিতা) সামনে আরও কঠিন হয়ে যায়। আবার গোলশূন্য অবস্থা থেকে শুরু হয় এবং সেমিফাইনালে দলগুলো খারাপের দিকে না ঝুঁকে আরও ভালো (পারফরম্যান্স) করতে চায়।’

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি অথবা অলিম্পিক লিওঁর মুখোমুখি হবে বায়ার্ন। দল দুটি শনিবার রাতে শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে পরস্পরকে মোকাবিলা করবে।

Comments