দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা সংক্রমণের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট মুনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। ছবি: রয়টার্স

নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানী সিউলে কঠোর সামাজিক দূরত্বের নিয়ম ঘোষণা করা হলেও প্রেসিডেন্ট মুন জা ইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।

রয়টার্স জানায়, শনিবার, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানীতে জমায়েত ও সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সিউলে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট মুনের সাম্প্রতিক রিয়েল এস্টেট মার্কেট নীতি ও তার প্রশাসনের নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে সম্প্রতি দেশটিতে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

কোরিয়া সেন্টারস অফ ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (কেসিডিসি) জানায়, দেশটিতে চার মাসেরও বেশি সময় পর টানা দ্বিতীয় দিনের মতো স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ বেড়েছে। কেসিডিসি জানায়, শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে ১৬৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৫৫ জনই স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হন।

নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরপরই কঠোরভাবে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ব্যাপকহারে পরীক্ষা ও সংস্পর্শে আসাদের শনাক্ত করা হয়েছে।

দেশটিতে নতুন করে করোনা সংক্রমণের জন্য গির্জার সমাবেশ ও রেস্তোরাঁসহ কয়েকটি জায়গা ক্লাস্টার হিসেবে ধরা হচ্ছে। সিউল গির্জার সদস্য ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যেই অন্তত ১০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্ক নিউং-হু এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গির্জার চার হাজার সদস্যের করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী চুং সি-কিউন শনিবার এক বৈঠকে সিউল ও নিকটবর্তী গিয়ংগি প্রদেশে দ্বিতীয় স্তরের সামাজিক দূরত্ব ঘোষণা করেন।

মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলোকে তিনটি স্তরে ভাগ করে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। প্রথম স্তরে সবচেয়ে কম ও তৃতীয় স্তরে সবচেয়ে কঠোর নিয়ম জারি হবে। তৃতীয় স্তরের নিয়ম অনুযায়ী, স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে।

সিউলে দ্বিতীয় স্তরের সামাজিক দূরত্বের ক্ষেত্রে বাড়ির ভেতরের জমায়েতে ৫০ ও খোলা জায়গায় জমায়েতে ১০০ এর কম মানুষ সমবেত হওয়ার অনুমতি পাবে। এছাড়াও খেলার ম্যাচে দর্শক নিষিদ্ধ থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী চুং সি-কিউন বলেন, ‘আমরা এক মারাত্মক বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারলে মহামারি আবারও বিস্তার ঘটাবে।’

Comments

The Daily Star  | English
shutdown at Jagannath University

Students, teachers call for JnU 'shutdown'

JnU students have continued their blockade at the capital's Kakrail intersection for the second consecutive day

5h ago