কালুখালীতে ‘পানিতে চুবিয়ে’ হত্যার ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন
রাজবাড়ীর কালুখালীতে রবিউল বিশ্বাস (৩০) নামে এক ব্যাক্তিকে ‘পানিতে চুবিয়ে’ হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে থানায়। এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছেন পুলিশ সুপার।
ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি রিয়াদুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ী ইউনিয়নের বেদবাড়িয়া গ্রামের আছিরউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে রবিউলকে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। শনিবার ভোররাতে রবিউলের বাড়ি থেকে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার দূরে মোয়াইনের বিল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত রবিউলের স্ত্রী শাবান আক্তার বাদি হয়ে আজ রোববার ভোররাত সাড়ে ১২টার দিকে কালুখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা হিসেবে চার/পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
মামলা হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ওসি কামরুল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
রবিউলকে বাড়ি থেকে পুলিশ ডেকে নিয়ে গেছে— এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘পুলিশ রবিউলের বাড়ির সামনে গিয়েছিল তবে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেনি। বাড়ির বাইরে থেকে ডাকাডাকি করার পর কেউ বাড়ি থেকে বের হয়ে না আসায় পুলিশ চলে আসে।’
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। গতকাল বিকেলে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে একদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন এবং দুই সদস্য পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার লাবিব আব্দুল্লাহ ও কালুখালী থানার ওসি কামরুল হাসান।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে পুলিশের নাম এসেছে, এ বিষয়টি আমার ভালো লাগেনি। এটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশের ভূমিকা যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে জন্যই বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’
ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি রিয়াদুল কবির আজ রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে আসবেন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শকালে এ ব্যাপারে মৃতের পরিবার, পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন ওসি।
বিল থেকে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার শনিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে এলাকাবাসী পুলিশকে বাধা দেয় এবং তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। সে সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
Comments