নিজেদেরই দুষছেন গার্দিওলা

তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, মাঠে অনেক ভুল করেছে শিষ্যরা।
pep guardiola
ছবি: এএফপি

আরও একবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে থেমেছে ম্যানচেস্টার সিটির পথচলা। টানা তৃতীয়বারের মতো প্রতিযোগিতার এই পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি। অলিম্পিক লিঁওর কাছে হারের পর স্বাভাবিকভাবেই হতাশ তাদের কোচ পেপ গার্দিওলা। তবে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, মাঠে অনেক ভুল করেছে শিষ্যরা।

শনিবার রাতে চমক দেখিয়ে ফেভারিট ম্যান সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে লিঁও। প্রথমার্ধে ম্যাক্সওয়েল করনেতের গোলে ফরাসি দলটি এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে সিটিজেনদের সমতায় ফেরান কেভিন ডি ব্রুইন। বদলি নামা মৌসা দেম্বেলে ম্যাচের শেষ দিকে আট মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে লিওঁকে পাইয়ে দেন সেমির টিকিট।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ম্যাচ শেষে গার্দিওলার উপলব্ধি হচ্ছে, নিজেদের পায়েই কুড়াল মেরেছে সিটি, ‘এই ধরনের প্রতিযোগিতায় প্রতি ম্যাচেই আপনাকে নিখুঁত হতে হবে এবং আমরা তা করতে পারিনি।’

৭৭তম মিনিটে দ্বিতীয়বারের মতো পিছিয়ে পড়ার পর ফের সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল সিটি। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ফাঁকা জালে বল পাঠাতে পারেননি ইংলিশ ফরোয়ার্ড রহিম স্টার্লিং। ৮৫তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস ছোট ডি-বক্সের মধ্যে ক্রস করলেও পোস্টের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি।

দুই মিনিট পর বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় সিটির। মাঝমাঠে বল কেড়ে নিয়ে আক্রমণে গিয়ে শট নেন লিঁওর আউয়ার। কিন্তু গোলরক্ষক এদারসন সহজ বল লুফে নিতে ব্যর্থ হন। তার ভুলের ফায়দা তুলে নিয়ে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসি স্ট্রাইকার দেম্বেলে।

অমার্জনীয় দুটি ভুলের খেসারত দেওয়া প্রসঙ্গে গার্দিওলা বলেছেন, ‘আপনাকে সমতা টানতে হবে এবং (খেলা) অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু উল্টো আমরা তৃতীয় গোলটি হজম করেছি। আমরা অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করেছি এবং (গোল করার জন্য) সবকিছুই করেছি। তবে দুর্ভাগ্যবশত আমরা আবারও বাদ পড়ে গিয়েছি।’

চার বছর ধরে ম্যান সিটির দায়িত্বে আছেন বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক কোচ গার্দিওলা। কিন্তু একবারও দলটিকে শেষ চারে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করেও তাই ইউরোপের সেরা ক্লাব আসরের শিরোপা ঘরে তোলার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে সিটিকে।

তবে আশার বাণীও শোনা গিয়েছে সাবেক স্প্যানিশ ফুটবলার গার্দিওলার কণ্ঠে, ‘একদিন আমরা কোয়ার্টার ফাইনালের এই গেরো খুলে ফেলব।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago