দলই চা-বাগান চালুর দাবিতে মানববন্ধন

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার দলই চা-বাগান চালু ও বাগানের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া চা-শ্রমিক সন্তানদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদ (উৎস)। আজ রোববার কমলগঞ্জ উপজেলার দোয়েল চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদের কর্মসূচি। ছবি: স্টার

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার দলই চা-বাগান চালু ও বাগানের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া চা-শ্রমিক সন্তানদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদ (উৎস)। আজ রোববার কমলগঞ্জ উপজেলার দোয়েল চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদের সভাপতি জ্যোতির্ময় কানুর সভাপতিত্বে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ রাজভর কিরণ বলেন, ‘দলই চা-বাগানের অন্তত ছয় শ দিনমজুর শ্রমিক চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। কাজ নেই। ঘরে খাবার নেই। চা-বাগান কর্তৃপক্ষ আকস্মিকভাবে গত ১৮ দিন আগে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাগান বন্ধ করে দেওয়াতে তারা বড় বেকায়দায় পড়েছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদের সভাপতি জ্যোতির্ময় কানু বলেন, ‘কমলগঞ্জ উপজেলার দলই চা-বাগান ব্যবস্থাপক অমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বাগানের শ্রমিকদের নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে থাকায় তাকে বাগান থেকে সরানোর দাবি উঠে। এতে বাগান মালিক পক্ষ ও ব্যবস্থাপক ক্ষিপ্ত হয়ে যান। অবশেষে গত ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় আকস্মিকভাবে দলই চা-বাগান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।’

‘শ্রম আইন লঙ্ঘন করে ও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভুয়া অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার দলই চা-বাগান বন্ধ করে দিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ’, বলেন তিনি।

দলই চা-বাগানের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে স্থানীয় কিছুসংখ্যক প্রভাবশালী লোকজন যোগ দেয়। পরে সবাই একত্রিত হয়ে আমাকে বাগান থেকে বের করে দেয়। এ নিয়ে পরিবেশ উত্তপ্ত হলে মালিক কর্তৃপক্ষ বাগান বন্ধ করে দেয়।’

সমস্যার সমাধানে দুই বার বৈঠক হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক বলেন, ‘ইতোমধ্যে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদে দুইটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম বৈঠক গত ২৯ জুলাই ও দ্বিতীয়টি ৪ আগস্ট। এতে দুই পক্ষের লোকজনই উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি সমঝোতা হতে পারে।’

উল্লেখ্য, অবিলম্বে দলই চা-বাগান খুলে দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন চা-বাগানের শ্রমিকরাও মানববন্ধন করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

$8b climate fund rolled out for Bangladesh

In a first in Asia, development partners have come together to announce an $8 billion fund to help Bangladesh mitigate and adapt to the effects of climate change.

6h ago