আবারও বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলার পানি

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সব নদ-নদীর পানি আবারও বাড়ছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চরযাত্রাপুর এলাকায় বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। ১৭ আগস্ট ২০২০। ছবি: স্টার

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সব নদ-নদীর পানি আবারও বাড়ছে।

গত দুই দিনে এসব নদ-নদীতে ৭ থেকে ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। তবে দুই জেলার নদ-নদীর পানি বিপৎমীমার নিচে রয়েছে।

চলতি আগস্ট মাসের শেষ দিকে আবারও বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চরযাত্রাপুরের নৌকার মাঝি নূর হক মণ্ডল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তা বিপৎসীমার ওপরে চলে যাবে। এতে আবারও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।’

একই এলাকার কৃষক জোবের আলী (৫৬) ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা দুই দফা বন্যার ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এর মধ্যেই ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়তে থাকায় আমাদের ভয় হচ্ছে। আমরা আবারও বন্যা পরিস্থিতিতে পড়লে অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়ে যাবো।’

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তিস্তাপাড়ের চর গোবর্ধান এলাকার কৃষক মজমুল ইসলাম (৫৮) ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় আমরা বাড়িতে উঠেছি। এখন তিস্তার পানি বাড়ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে আবারও বন্যা হতে পারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন জানিয়েছেন।’

এ মাসের বন্যা সবচেয়ে ভয়াবহ ও ক্ষতির হয়ে থাকে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশরী মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে তা নেমেও যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে এ মাসের শেষ দিকে নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আমাদের কাছে সতর্কবার্তা রয়েছে।’

বন্য পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার দুই দিন আগেই নদীপাড়ের মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago