যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৩ জনকে হত্যার ঘটনায় ৮ কিশোর গ্রেপ্তার

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোরকে হত্যার ঘটনায় আট কিশোর বন্দীকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। কিশোরদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এই আট জনকে ব্যবহার করা হয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতরাতে তাদের আটকের কথা জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলেয়ে ১৯ জনকে হেফাজতে নিল পুলিশ। কেন্দ্রের বরখাস্ত তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদসহ পাঁচ কর্মকর্তা রয়েছেন রিমান্ডে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর পর কেন্দ্রের আট কিশোরকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো।
পুলিশের পাশাপাশি ১৩ আগস্টের এই ঘটনাটি সমাজসেবা অধিদপ্তর ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় তদন্ত করছে। অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন কর্মচারীর সাক্ষ্য নিয়েছেন। তাদের সঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের একটি দল রোববার রাতে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন বন্দী কিশোরের বয়ান নিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন--বগুড়ার শিবগঞ্জের তালিবপুর পূর্ব পাড়ার নান্নু পরামানিকের ছেলে নাঈম হোসেন (১৭), খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা সেনপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮) ও বগুড়ার শেরপুরের মহিপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাসেল হোসেন (১৭)। পিটুনিতে গুরুতর আহত হয় আরও ১৫ কিশোর।
নিহত পারভেজের বাবা রোকা মিয়া ঘটনার পরদিন রাতে যশোরের কোতয়ালী থানায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কয়েকজন বন্দী কিশোরকে আসামি করে মামলা করেন। শনিবার শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের পাঁচ কর্মকর্তাকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রোকিবুজ্জামান জানান, তদন্ত কাজ সুষ্ঠুভাবে চলেছে। রিমান্ডে থাকা পাঁচ কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
Comments