‘আমি সাধু নই’ গণভোটের পর লুকাশেঙ্কোর ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব

আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। ছবি: রয়টার্স

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন আজ সোমবার তিনি জানিয়েছেন যে গণভোটের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি।

২৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পর সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে গণবিক্ষোভ ও ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের প্রশমিত করতেই লুকাশেঙ্কো আজ এ আশ্বাস দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকারবিরোধী আন্দোলনের মুখে বিরোধী দলের রাজনীতিবিদ সভেতলানা তিখানভস্কায়া বেলারুশের নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন। এরপর, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানার শ্রমিকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে লুকাশেঙ্কো গণভোটের প্রস্তাবের কথা জানান।

সোভিয়েত মডেলে চালানো ওই বড় রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানায় বক্তব্য দিতে গিয়েও শ্রমিকদের দিক থেকে ‘স্টেপ ডাউন’ শ্লোগান শুনতে হয়েছে লুকাশেঙ্কোকে। শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দলের চাওয়া অনুযায়ী নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে না।

তিনি সংবিধান পরিবর্তন করারও একটি প্রস্তাব দেন। তবে, তাতে বিক্ষোভকারীরা সন্তুষ্ট হবে বলে মনে হয় না।

তিনি বলেন, ‘সংবিধানে পরিবর্তন এনে গণভোটের ব্যবস্থা করব। আমি আমার সাংবিধানিক ক্ষমতা হস্তান্তর করব। তবে কোনো চাপের মুখে বা রাস্তায় বিক্ষোভের কারণে নয়।’

‘হ্যাঁ, আমি সাধু নই। আপনারা আমার কঠোরতা সম্পর্কে জানেন। আমি চিরন্তন নই। তবে, আপনারা যদি প্রেসিডেন্টকে টেনে নামান, তবে, আপনারা প্রতিবেশী দেশ এবং অন্য সবাইকেও পাশ থেকে সরিয়ে ফেলবেন,’ যোগ করেন তিনি।

এ দিকে, মস্কো লুকাশেঙ্কোকে জানিয়েছে যে তারা সামরিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত। গত সপ্তাহে লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৭০০ জনকে। এ অবস্থায় লুকাশেঙ্কো ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে পড়েছেন।

লিথুয়ানিয়া থেকে এক ভিডিও বার্তায় বেলারুশের বিরোধী নেতা তিখানভস্কায়া বেলারুশের নিরাপত্তাকর্মী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের লুকাশেঙ্কোর পাশ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যদি এখনই তা করে, তবে তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি এ সময়ে দেশের নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তুত।’

আরও পড়ুন

ভোট কারচুপি ও পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্তাল বেলারুশ

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

16h ago