প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির পরই অবসর নিতে চেয়েছিলেন ধোনি!
মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন ভারতীয় টেস্ট দলে প্রতিষ্ঠিত নাম ভিভিএস লক্ষণ। এরপর ধোনির সঙ্গে অনেক দিন খেলেছেন তিনি, খেলেছেন ধোনির নেতৃত্বেও। স্বাভাবিকভাবেই জমা হয়েছে বহু স্মৃতি। ধোনির বিদায় তেমন দুই মজার ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন নান্দনিক এই ব্যাটসম্যান।
শনিবার রাতে এক ইন্সটাগ্রাম পোস্টে ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দেন ধোনি। তার আগে এক বছর থেকেই তিনি ছিলেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে।
ভারতের হয়ে নেতৃত্বের সফলতা, ব্যাটসম্যান-কিপার বা অধিনায়ক হিসেবে অনন্য ধরন রেখে নিজেকে বেশ আগেই আলাদা করেছেন ধোনি। মাঠের বাইরে থেকে বিদায় নিলেও তার অবসর নাড়া দেয় ক্রিকেট বিশ্বকে।
স্টার স্পোর্টসের এক আলোচনায় ধোনিকে নিয়ে প্রাসঙ্গিকভাবেই কথা বলেছেন লক্ষণ। ২০০৫ সালের ২ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল ধোনির। পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টেই খেলে ফেলেন ১৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। লক্ষণ জানান ওই ইনিংস খেলে ফেরার পর খুশিতে উদ্বেল ধোনির মনে হয়েছিল তার সব পাওয়া হয়ে গেছে, ‘ধোনির দুটি মজার ঘটনা আমি কোনদিন ভুলব না। একটি হলো পাকিস্তানের বিপক্ষে ফয়সালাবাদ টেস্টের সেঞ্চুরির পর। সেদিন সে ড্রেসিং রুমে ফিরেই চিৎকার করে বলছি, “আমি এমএস ধোনি, আমি অবসর ঘোষণা করছি। টেস্টে সেঞ্চুরি করে ফেলেছি এটাই যথেষ্ট। আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।” আমরা তো এটা শুনে একদম হতভম্ব হয়ে যাই। কিন্তু ধোনি এমন ধরনেরই ছিল।’
২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অধিনায়কত্ব পান ধোনি। নাগপুর টেস্টে মাঠ থেকে হোটেলে ফেরার পথে নাকি ঘটান অদ্ভুত ঘটনা, ‘পরেরটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নাগপুর টেস্টে। তখন সে ভারতের অধিনায়ক হয়ে গেছে। অনিল কুম্বলে দিল্লিতে দুই ম্যাচ আগেই (আগের ম্যাচে) অবসর নেয়। আমরা তখন মাঠ থেকে হোটেলে ফিরছি। ধোনি তখন বাস চালককে বলল পেছনের সিটে বসতে, তারপর সে বাস চালিয়ে নিল। ভারতের অধিনায়ক টিম বাস চালাচ্ছে, অদ্ভুত ব্যাপার। ও আসলে জীবনটা উপভোগ করতে জানে।’
Comments