আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলির সাফল্যে রাঙানো এক যুগ
২০০৮ সালের ১৮ অগাস্ট ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন বিরাট কোহলি। সম্ভাবনাময় হিসেবে দলে থিতু হওয়ার পর ক্রমেই দেখাতে থাকেন চোখ ধাঁধানো নৈপুণ্য। সব সংস্করণেই অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা দেখিয়ে উঠে যান সাফল্যের চূড়ায়। এক যুগের মধ্যেই রীতিমতো কিংবদন্তিদের কাতারে তার পরিসংখ্যান।
এই ১২ বছরে কোহলি নিজেকে বানিয়েছেন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। তৈরি করেছেন আলাদা এক উচ্চতা। অধিনায়ক হিসেবেও তার হাত ধরে ভারত পাচ্ছে নিয়মিত জয়।
এক যুগে কোহলি খেলেছেন ২৪৮ ওয়ানডে। ৫৯.৩৩ গড়ে তাতে ১১ হাজার ৮৬৭ রান তার। ৫৮ ফিফটির সঙ্গে করে ফেলেছেন ৪৩ সেঞ্চুরি। একদিনের ক্রিকেটে শচিন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ ৪৯ সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে ফেলার খুব কাছে ৩১ বছর বয়সী কোহলি।
সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলির সেঞ্চুরি হয়ে গেছে ৭০টি (টেস্টে ২৭)। এখানে শচিনের ১০০ সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ তার সামনে।
তবে ইতোমধ্যে কিছু কিছু জায়গায় শচিনকে টপকে সেরা বনে গেছেন ডানহাতি কোহলি। ওয়ানডেতে ৪৩ সেঞ্চুরির ২৬টিই করেছেন রান তাড়ায় গিয়ে। যার ২২টিতেই দলকে জিতিয়েছেন তিনি। রান তাড়ায় শচিনের সেঞ্চুরি ১৭টি, যার ১৪টিতে তিনি জেতাতে পেরেছিলেন দলকে।
ওয়ানডেতে শচিন তার ৪৯ সেঞ্চুরির ৩৩টিতে দলকে জেতাতে পেরেছিলেন। কোহলি ৪৩ সেঞ্চুরির ৩৫টিতেই জিতিয়েছেন ভারতকে। তার ক্রমাগত রান করে যাওয়ার ক্ষুধা আভাস দিচ্ছে এই রেকর্ড ক্যারিয়ার শেষে অবিশ্বাস্য এক চূড়ায় রেখে যাবেন তিনি।
২০১১ সালে টেস্ট অভিষেকের পর সাদা পোশাকেও সমান মুন্সিয়ানা তার ব্যাটে। ৮৬ টেস্ট খেলে ৫৩.৬২ গড়ে ৭ হাজার ২৪০ রান করেছেন। ২২ ফিফটি ছাপিয়ে আছে ২৭ সেঞ্চুরি। টেস্টে সেট হওয়ার পর বড় রান করতে তিনি কতটা পারঙ্গম প্রমাণ দেয় তার ৭ ডাবল সেঞ্চুরির পরিসংখ্যান। এই ৭টিই আবার করেছেন অধিনায়ক হিসেবে। অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে এতগুলো ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড নেই আর কারো।
২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শুরু করে ৮২ ম্যাচ খেলে ২ হাজার ৭৯৪ রান তার। এখানেও গড় রেখেছেন পঞ্চাশের (৫০.৮০) উপর।
কোহলির যুগ পূর্তিতে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করে বিসিসিআই লিখেছে, ‘২০০৮ সালের আজকের দিনে ভারতের জার্সিতে প্রথম খেলতে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি। বাকিটা ইতিহাস।’ ক্যারিয়ারের নানা সময়ের ছবি জড়ো করে টুইট করেছেন কোহলিও।
Comments