আমরা তাদের খেয়ে ফেলেছি: দি মারিয়া
চলতি মৌসুমে বেশ চমক দেখিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠেছিল জার্মান দল আরবি লাইপজিগ। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) হলেও সাম্প্রতিক সময়ে জার্মান দলটি দারুণ ফুটবল খেলায় দুই দলের সমান সুযোগ দেখেছিলেন সবাই। কিন্তু মাঠে ম্যাচটি অনেকটা একপেশে করে ফেলে প্যারিসের ক্লাবটি। প্রথম মিনিট থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে দারুণ জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে নাম লেখায় নেইমার, এমবাপে, দি মারিয়ারা।
এমন জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত দলের অন্যতম সেরা তারকা আনহেল দি মারিয়া। আগের দিন লাইপজিগকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মূল কারিগরই ছিলেন। একটি গোল করেছেন। বাকি দুই গোলের উৎসও তিনি। ৩-০ গোলের অসাধারণ জয়ের পর বিসিবি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আর্জেন্টাইন তারকা বলেন, 'প্রথম মিনিট থেকেই আমরা তাদের খেয়ে দিয়েছি।'
এর আগে ১৯৯৫ সালে একবার সেমি-ফাইনাল খেলার সুযোগ হলেও পিএসজির ইতিহাসে প্রথম এটাই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত দি মারিয়া। আর এ কারণে ফাইনালের আগ পর্যন্ত ঘুমাতে পারবেন না বলেই জানালেন এ তারকা, 'এখন থেকে ফাইনালের আগ পর্যন্ত ঘুমানো অনেক কঠিন হয়ে যাবে।'
তবে প্রাপ্য দল হিসেবেই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন বলে মনে করেন এ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ফাইনালেও একই ধারা ধরে রাখার অঙ্গীকার করে বলেন, 'আমরা প্রতি ম্যাচের জন্যই অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছি এবং প্রাপ্য হিসেবেই এ জায়গায় এসেছি। বায়ার্ন না লিঁও, আমরা কাদের মোকাবেলা করব, এ নিয়ে পরোয়া করি না, আমরা আমাদের সেরাটা দিব।'
সব মিলিয়ে বেজায় খুশী দি মারিয়া, 'আমরা দারুণ খুশী। এটা আমাদের ক্লাবের প্রথম (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল)। আমরা কঠিন পরিশ্রম করেছি এবং ম্যাচে দারুণ খেলেছি। আমাদের ক্লাবের জন্য ইতিহাস গড়তে হবে। আমরা আজ রাতে সাফল্য পেয়েছি এবং আমরা ফাইনালে পৌঁছেছি- এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের স্বপ্ন বাস্তব করতে হলে আজকে রাতের মতোই আমাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।'
ফাইনালে ওঠায় নিজেদের লিগ (লিগা ওয়ান) যে উঁচু লেভেলে রয়েছে তাও জানিয়ে গেলেন দি মারিয়া। কারণ এ লিগকে ট্রল করে অনেকেই কৃষক লিগ বলে থাকেন। তার উপযুক্ত জবাবও দিয়েছেন এ ফরোয়ার্ড। আরএমসি স্পোর্টসকে তিনি বলেন, 'আমরা পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছি ফরাসি এবং জার্মান চ্যাম্পিয়নশিপ একটা ভালো লেভেলে আছে। ইতিহাস থেকে আমরা মাত্র এক ধাপ দূরে রয়েছি।'
Comments