কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকলে দেশেই থাকতেন ৯৯ শতাংশ সম্ভাব্য অভিবাসী: আইওএম
বাংলাদেশে জীবিকা নির্বাহের ভালো সুযোগ পেলে ৯৯ শতাংশ সম্ভাব্য অভিবাসী দেশেই থাকতেন বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) নতুন প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যে পাঁচটি প্রধান কারণে বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে অভিবাসন করেন তা হলো: জীবিকার অভাব (বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে), অপর্যাপ্ত উপার্জন, অর্থনৈতিক সমস্যা, সামাজিক সেবার অভাব ও সীমিত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশ: সার্ভে ওন ড্রাইভারস অফ মাইগ্রেশন অ্যান্ড মাইগ্রেন্টস্ প্রোফাইল’ নামের প্রতিবেদনটি আজ বুধবার একটি অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৯ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে, সর্বমোট ১১ হাজার ৪১৫ জন সম্ভাব্য অভিবাসীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৮৯ অধিকাংশ উত্তরদাতা পুরুষ। অংশগ্রহণকারীদের সবার গড় বয়স ২৭ বছর।
সম্ভাব্য অভিবাসীদের জিজ্ঞেস করা হয় কী কী পরিবর্তন করা হলে তারা দেশে থাকবেন। প্রায় সবাই অর্থাৎ ৯৯ শতাংশ উত্তর দেন, ‘উন্নত কর্মসংস্থানের সুযোগ পেলে তারা বাংলাদেশেই থাকবেন।’
উত্তরদাতাদের ৩৮ শতাংশ জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তারা দেশে থাকবেন। অংশগ্রহণকারীদের ৩৬ শতাংশ উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ২৯ শতাংশ আরও সুলভ স্বাস্থ্যসেবার কথা উল্লেখ করেছেন দেশে থাকার জন্য।
প্রায় অর্ধেক অংশগ্রহণকারী জানান, তারা দেশে থাকবেন যদি তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে আরও বেশি সহায়তা করা হয়।
আইওএম বাংলাদেশ এর মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো আমরা দেশব্যাপী সম্ভাব্য অভিবাসীদের ওপর জরিপ পরিচালনা করেছি। এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ থেকে অভিবাসনের আর্থসামাজিক চালিকাশক্তিগুলো নিয়ে কাজ করতে সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি শিক্ষা ও দক্ষতায় বিনিয়োগের গুরুত্ব সম্পর্কে উচ্চস্তরের আলোচনা ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে প্রতিবেদনটি।’
আইওএম এর হিসাবে, আন্তর্জাতিক অভিবাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৬ষ্ঠ বৃহত্তম উৎস দেশ। ২০১৯ পর্যন্ত ৭৮ লাখ বাংলাদেশি বিদেশে অবস্থান করেছেন। প্রতিবছর এদেশে ২২ লাখেরও বেশি তরুণ শ্রমবাজারে যুক্ত হন। কিন্তু, স্থানীয় শ্রমবাজার এই কর্মসংস্থানপ্রার্থীদের জায়গা দিতে সক্ষম নয় বলেও মন্তব্য করে সংস্থাটি।
Comments