চট্টগ্রামে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ‘গরীবের হাসপাতাল’

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ‘গণস্বাস্থ্য গরীবের হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Gonosasthaya Kendra.jpg
গণস্বাস্থ্য গরিবের হাসপাতাল। ছবি: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ‘গণস্বাস্থ্য গরীবের হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আজ বুধবার দুপুরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের কাপ্তাই রোডে “গরীবের হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল লতিফ। তার পক্ষে এই হাসপাতালটি পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছিল না। তিনি ওই হাসপাতালসহ সেখানকার জমি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে দান করে দিয়েছেন।’

‘চট্টগ্রামের গরিব মানুষের জন্য এবার আমরা সেখানে ২৫ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস বেইজড হাসপাতাল তৈরি করতে যাচ্ছি। কিডনি ডায়ালাইসিসের পাশাপাশি সেখানে সাধারণ রোগীদেরও সুলভমূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে’, বলেন তিনি।

গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গতকাল চট্টগ্রামের লালখান বাজারে সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল লতিফের বাসায় হাসপাতাল ও জমি হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। যেহেতু সেখানে তিনতলা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল ভবন আগে থেকেই আছে, তাই আমরা এখন সেটিকে সংস্কার করে নতুনভাবে রূপ দেওয়ার চিন্তা করছি।’

ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘ঢাকায় আমাদের যে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার আছে, চট্টগ্রামের হতদরিদ্র মানুষের জন্য সেটিকেই বর্ধিত করার পরিকল্পনা করেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা সেখানে ২৫ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস বেইজড হাসপাতাল স্থাপন করব। পরে এর আওতা আরও বাড়ানো হবে।’

‘ইতোমধ্যে আমাদের একটি প্রকৌশলী দল সেখানে পৌঁছেছে। আজ তারা পুরাতন হাসপাতাল ভবনটি পরিদর্শন করে আমাদের একটি অ্যাসেসমেন্ট দেবেন। পরে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব’, যোগ করেন তিনি।

আগামী দুই মাসের মধ্যে হাসপাতালটিকে নতুনরূপে চালু করতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার।

গতকাল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে হাসপাতাল ভবন ও জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সন্ধ্যা রায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গ্রুপ ফাইন্যান্স পরিচালক মীর নকীব, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের এজিএম (বিপণন) মো. আতিকুর রহমান, সিনিয়র ডিসট্রিক্ট ম্যানেজার (চট্টগ্রাম) মো. নাজমুল হক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রকৌশলী লিটন কুমার দাস।

এ ছাড়া, চট্টগ্রাম সুপ্রিম কোর্ট ও চট্টগ্রাম জর্জ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাশেম কামাল, হাসপাতাল ও জমিদাতা সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল লতিফের স্ত্রী কামরুন্নাহার, মেয়ে ডা. সুলতানা রৌশন নূরী, ছেলে জাকির উল্লাহ ও স্থানীয় সমাজকর্মী এস এম রেজাউল করিমও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

Comments