নোবিপ্রবি ল্যাবে করোনা ভাইরাসের জীবন রহস্য উন্মোচনে গবেষণা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কোভিড-১৯ ডায়াগনস্টিক ল্যাবে করোনা ভাইরাসের জীবন রহস্য (জিনোম সিকোয়েন্স) উন্মোচনে গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
নোবিপ্রবি এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে একশটি করোনা ভাইরাসের জীবন রহস্য উন্মোচন কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০টি পজিটিভ নমুনার আরএনএ এক্সট্রাকশন করে সিডিএনএ তৈরি করা হয়। এরপর তা নোবিপ্রবি করোনা ল্যাব থেকে পাঠানো হয় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। আর এতেই সাফল্যের দেখা পান গবেষকরা। ইতিমধ্যে আটটি করোনা ভাইরাসের জীবন রহস্য সম্পন্ন হয়েছে। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সম্মিলিত গবেষণা কার্যক্রম করোনার টিকা তৈরিতে সহায়ক হবে বলে আশা করছেন গবেষকরা। এছাড়াও এর মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনা মহামারী হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নোবিপ্রবির অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বুধবার বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ কার্যক্রমে সার্বিকভাবে যুক্ত আছেন নোবিপ্রবি উপাচার্য ড. মো. দিদার-উল-আলম, নোবিপ্রবি কোভিড-১৯ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ফোকাল পয়েন্ট অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহম্মদ বাহাদুর এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ মাকসুদ হোসেন ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হেল্থ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক হাসান মাহমুদ রেজা।
নোবিপ্রবি ল্যাবে চট্টগ্রাম বিভাগ ও সংলগ্ন এলাকায় করোনা ভাইরাসের উৎস, জীনগত পরিবর্তন, জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং পরবর্তীতে এই ভাইরাসের টীকা উৎপাদন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
দেশে মার্চে করোনা শনাক্ত হয়। গত ১১ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণায়ের অনুমোদনে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনুদানে নোবিপ্রবি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে আরটি পি সি আর মেশিনে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কার্যক্রম চালু করা হয়। ইতোমধ্যে ল্যাবে ১৬,৮৭৬ নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৮১৫ টি নমুনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
Comments