বন্যা ও নদী ভাঙনে মানিকগঞ্জের ৩ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত

বন্যা ও নদী ভাঙনে মানিকগঞ্জে সরকারি তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া, ৩০৬টি বিদ্যালয়ের ভবন, মাঠ ও সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করতে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে।
Manikganj_School_20Aug20.jpg
বন্যা ও নদী ভাঙনে মানিকগঞ্জে সরকারি তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া, ৩০৬টি বিদ্যালয়ের ভবন, মাঠ ও সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি: স্টার

বন্যা ও নদী ভাঙনে মানিকগঞ্জে সরকারি তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া, ৩০৬টি বিদ্যালয়ের ভবন, মাঠ ও সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করতে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে।

হরিরামপুর উপজেলার পিপুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সেলিনা কনক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মাঠে বন্যার পানি জমে এবং তীব্র স্রোতে মাটি সরে গেছে।’

দৌলতপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘৩৪ নং বাঁচামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯৮ নং সুবুদ্ধি-পাচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৩ নং চরকাটারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে মুসলিমনগণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার অধিকারী বলেন, ‘জেলায় ৬৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩০৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ৭০টি, ঘিওর উপজেলার ৬৮টি, সিংগাইর উপজেলার ৪০টি, সাটুরিয়া উপজেলার ৪৯টি, হরিরামপুর উপজেলার ১৫টি, শিবালয় উপজেলার ৩০টি বিদ্যালয় এবং দৌলতপুর উপজেলার ৩৪টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের দেয়াল দেবে গেছে, খেলার মাঠের মাটি সরে গেছে এবং সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া, দৌলতপুর উপজেলায় তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোর সংস্কার কাজ করতে কমপক্ষে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচ হবে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।’

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ এম ফেরদৌস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মানিকগঞ্জের পদ্মা ও যমুনা তীরবর্তী তিনটি উপজেলা দৌলতপুর, হরিরামপুর এবং শিবালয় প্রতিবছরই ভাঙনের কবলে পড়ে। বাড়ি, ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রতিবছরই ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হয়। কিন্তু ভাঙনরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে, আমি মনে করি নদী তীরবর্তী ভাঙনপ্রবণ এলাকায় স্থায়ী স্থাপনা না করে সেখানে স্থানান্তরযোগ্য স্টিলের কাঠামো দিয়ে স্কুল, মাদরাসা এবং আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করা দরকার। যাতে সেসব স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া যায়। আমি ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ভাঙনপ্রবণ নদী তীরবর্তী এলাকায় স্থানান্তরযোগ্য স্থাপনা তৈরির বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন। আশা করি, ভবিষ্যতে স্থানান্তরযোগ্য স্থাপনাই হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago