শ্রীপুরে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের লভ্যাংশ না পাওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর বন। ছবি: স্টার

গাজীপুরের শ্রীপুরে বনায়ন কর্মসূচির আওতায় অর্ধশতাধিক উপকারভোগী তাদের লভ্যাংশ পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও গত প্রায় এক বছর আগে গাছ বিক্রির পর সেসব গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে।

উপকারভোগীরা জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ মতো তারা তাদের নিজ নামে ব্যাংক হিসাব খুলেছেন। তবে সেখানে কোনো লভ্যাংশ জমা হয়নি। 

শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর বন বিটের আওতাধীন উপকারভোগী ইদ্রিস আলী এবং পোষাইদ এলাকার উপকারভোগীরা জানান, গত সাত বছরেরও বেশি সময় আগে ওই বিটের ২৪ জন উপকারভোগীর আওতায় ২৪টি প্লট বরাদ্দ দিয়ে বনায়ন করা হয়। স্থানীয় বন বিভাগ প্রতিটি প্লট ১ হেক্টর করে উপকারভোগীদের সাথে চুক্তিভিত্তিক দেখভালের দায়িত্ব দেন। চুক্তি অনুযায়ী গাছ বিক্রির ৬০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে তারা পাবেন।

রাত দিন পাহারা দিয়ে তারা এসব গাছ দেখাশুনা করে আসছেন। অপেক্ষাকৃত দরিদ্র শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষজন উপকারভোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত আছেন। গত প্রায় এক বছর আগে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে বন বিভাগ ওইসব বনজ বাগান বিক্রি করেন। একইসাথে উপকারভোগীদের লভ্যাংশ বুঝে নিতে ব্যাংক হিসাব খুলতে পরামর্শ দেন। ইতোমধ্যে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারেরা ওইসব বন কেটেও নিয়ে গেছেন। 

উপকারভোগীরা ব্যাংক হিসাব খুলে তার নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর স্থানীয় বন বিটের কর্মকর্তার কাছে জমা দেন।

সাতখামাইর বিটের পোষাইদ গ্রামের উপকারভোগী মো. কাজল জানান, বন বিট (ফরেস্ট) অফিসে যোগাযোগ করলে ‘আজ নয় কাল-এ সপ্তাহ নয় পরের সপ্তাহ’ এভাবে তারিখ দেয়া হয়।

উপকারভোগীরা জানান, বনের বিক্রি করা গাছ কাটার পর আবার নতুন করে বনায়ন করা হয়েছে। সেগুলোও তারা দেখভাল করছেন। কিন্তু আগের গাছ বিক্রির লভ্যাংশের অর্থ বুঝে পাচ্ছেন না।

শ্রীপুর-মাওনা সড়কের সামাজিক বনায়নে কমপক্ষে ২৫ উপকারভোগী রয়েছেন। তাদের অনেকেই জানান, ব্যাংক হিসাব খুলে নিয়মিত ব্যাংকে খোঁজ করছেন। এখনও পর্যন্ত লভ্যাংশের কোনো অর্থ তাদের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়নি।

বন বিভাগের আরেকটি সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক করোনা মহামারির কারণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপডেট করতে দেরি হওয়াতে সাময়িক সমস্যা দেখা দিয়েছে। অচিরেই তার সমাধান করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ইছব জানান, স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তাগণ বিষয়টির সমাধান দিতে পারবেন।

যোগাযোগ করা হলে শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, উপকারভোগীদের কাছ থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ এবং প্রসেসিং করতে বিলম্ব হওয়াতে সময় চলে গেছে।

তিনি উপকারভোগীদের বন বিটের কর্মকর্তা (ফরেস্টার) এর সাথে সমন্বয় করে তার কার্যালয়ে দেখা করার পরামর্শ দেন।

Comments

The Daily Star  | English

10 ministries brace for budget cuts

The railway ministry, the power division, and the primary and mass education ministry will see the biggest chop.

10h ago