দেশে ফিরে গ্রেপ্তার ২৫৫ শ্রমিকের মুক্তি দাবি বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেন্টসের
করোনা মহামারির মধ্যে সম্প্রতি দেশে ফিরে গ্রেপ্তার হওয়া ২৫৫ জন অভিবাসী শ্রমিকের মুক্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেন্টস (বিসিএসএম)।
কুয়েত, কাতার, বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরে আসা এই শ্রমিকদের উত্তরার দিয়াবাড়িতে প্রাতিষ্ঠানিক ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন শেষে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিদেশে বিভিন্ন লঘু অপরাধে তারা দণ্ডিত হয়েছিলেন। গত ৫ জুলাই এদের মধ্যে ২১৯ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। মহামারির মধ্যে রাষ্ট্রীয় ক্ষমার আওতায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
প্রথমবার গ্রেপ্তারের পর তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিন হাজতে রাখার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সময় আরও দুই দফায় বাড়ানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ মিশন সূত্রকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিসিএসএম বলেছে, ‘এই অভিবাসীদের অধিকাংশই ‘‘অনিবন্ধিত হয়ে পড়া’’ এবং মদ্যপানসহ গুরুতর নয় এমন অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত যাদের বেশির ভাগই অর্ধেক বা তার বেশি সাজা ভোগ করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমায় মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন। এদের কেউ কেউ সংশ্লিষ্ট দেশে ‘টেলিকম নীতি’ লঙ্ঘনের জন্য শাস্তি ভোগ করেছেন। কেবলমাত্র টক টাইম বিক্রির অপরাধে দণ্ডিত হয়েছিলেন কয়েকজন যা বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত চর্চা এবং সাধারণত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় না। বন্দীদের কাউকেই প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে বহির্বিশ্বে “বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করায়” এবং ভবিষ্যতে তারা খুন, ডাকাতি, সন্ত্রাসবাদ ও নাশকতা কার্যক্রম সংঘটন করতে পারে এমন সন্দেহে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, মানবাধিকার ও প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে সক্রিয় ১৯টি সংগঠন নিয়ে গঠিত বিসিএসএম আরও বলেছে, ‘ভবিষ্যতে অপরাধ সংঘটিত হতে পারে এমন সন্দেহে কাউকে আটক করা সম্পূর্ণ বেআইনি। অভিবাসীদের পরিবার কেবল তাদের কাশিমপুর কারাগারে অবস্থানের খবর ছাড়া কোন তথ্যই জানেন না। গণমাধ্যমে আমরা এও জেনেছি যে, কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের পরিবার তদন্তকারী কর্মকর্তার দ্বারা হয়রানি এবং জোর পূর্বক অর্থ আদায়ের শিকার হচ্ছেন। পরিবারগুলো চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন এবং গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করছেন।’
Comments