সেঞ্চুরিতে পৌঁছে ক্রলির চোখে ভাসছিল তার গোটা ক্যারিয়ার

Zak Crawley

এর আগে খেলেছেন ৭ টেস্ট, তাতে কেবল ৩টা ফিফটি ছিল জ্যাক ক্রলির। ইংল্যান্ডের মতো দলের টপ অর্ডারের জন্য তিনি জুতসই ব্যাটসম্যান, সেটা যেন প্রতিষ্ঠা করতে পারছিলেন না। অবশেষে ক্রলির ব্যাটে দেখে মিলেছে আস্থার ছবি। শুক্রবার দারুণ সেঞ্চুরিতে দেখিয়েছেন নিজের সামর্থ্য। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিতে পৌঁছে তিনি নাকি দেখতে পারছিলেন তার উঠে আসার পুরো পথটাই।

সাউদাম্পটনের এইজেস বৌলে তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিন জস বাটলারকে নিয়ে রাঙিয়েছেন ক্রলি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩২২ রান তুলে দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড।

প্রথম সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে ক্রলি অপরাজিত ১৭১ রানে, জস বাটলার খেলছেন ৮৭ রান করে।

টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে শুরুতেই রোরি বার্নসকে হারায় স্বাগতিকরা। ডম সিবলির সঙ্গে ৬১ রানের জুটিতে প্রথম প্রতিরোধ শুরু ক্রলির। সিবলি ফেরার পর অধিনায়ক জো রুটের সঙ্গেও ৪১ রানের আরেক জুটি। নাসিম শাহর বলে থিতু হওয়া রুট ফিরে গেলে ফের ধাক্কা। এরপর অলি পোপও আউট হয়ে যান দ্রুতই।

১২৭ রানে ৪ উইকেট হারানো দল শঙ্কা কাটিয়ে থই খুঁজে পায় ক্রলি-বাটলার জুটিতে। জুটিতে ১৯৫ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন আছেন তারা।

এই জুটির পথেই টেস্টে ক্রিকেটে প্রথম তিন অঙ্কের দেখা পান ক্রলি। দিন শেষে জানান ৯০ পার হওয়ার পরই স্নায়ুচাপে ভুগছিলেন তিনি, যদিও সঙ্গীকে তা টের পেতে দেননি একেবারে,  ‘যখন আমি ৯১ রানে, তখন খুবই স্নায়ুচাপে ভুগছিলাম। জস বুঝতে পারেনি আমার এই অবস্থা। এটা নিজের ভেতর লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম।’

‘আমি চেষ্টা করেছি প্রতি বল সোজা খেলতে, বলের মান দেখে খেলতে।’

টেস্টে সেঞ্চুরি এমনিতেই বিশেষ কিছু। তারমধ্যে প্রথম সেঞ্চুরি তো আরও আলাদা। ২২ বছরের ডানহাতি ব্যাটসম্যান জানান, শতরানে পৌঁছে সতীর্থদের হাততালির শব্দে তার চোখে ভেসে আসছিল এই পর্যন্ত আসার পুরো পথ, ‘এটা অবিশ্বাস্য অনুভূতি। সবাইকে যখন বারান্দায় হাততালি দিতে দেখলাম- অনেকটা আমার গোটা ক্যারিয়ার যেন চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠল।’

এদিকে দিনের শেষে ইংল্যান্ড বেশ শক্ত অবস্থানে চলে যাওয়ায় পাকিস্তানের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ দায় দেখছেন টসের,  ‘টস খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ বাতাস শুরুর পর থেকে বোলারদেরর লাইন-লেন্থ রাখা মুশকিল ছিল। শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহদের মতো টেস্টে নবাগতদের জন্য ব্যাপারটা আরও কঠিন।’

পরিস্থিতির প্রতিকূলতাকে ঢাল বানালেও প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানের মুন্সিয়ানার বাহবা দিতে অবশ্য ভুলেননি মুশতাক, ‘কিন্তু তারা যে চেষ্টা চালিয়েছে সেজন্য গর্বিত। পিচ ব্যাট করার জন্য ভাল। তবু কৃতিত্ব দিতে হয় ক্রলিকে। সে দারুণ ইনিংস খেলেছে।’

Comments

The Daily Star  | English
DGFI involvement in enforced disappearances

2 years lost, life shattered

He was around 15 when he was picked up, a ninth grader.

9h ago