দুই তারকার দ্বৈরথ: লেভানডভস্কি বনাম নেইমার
ফুটবলপ্রেমীদের ৪২৬ দিনের দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষ হতে চলেছে। মাঠে গড়াতে যাচ্ছে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০১৯-২০ মৌসুমের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। শিরোপার মঞ্চে মুখোমুখি হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
আগামীকাল রবিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত একটায় শুরু হবে ফাইনাল। ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের সেরা নির্ধারণের ম্যাচের ভেন্যু পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের স্তাদিও দা লুজ।
শিরোপাপ্রত্যাশী দুই দলই তারকায় ঠাসা। বায়ার্নের আক্রমণভাগে আছেন রবার্ট লেভানডভস্কি-সার্জ ন্যাব্রি-থমাস মুলাররা। পিএসজিকে পথ দেখাবেন নেইমার-কিলিয়ান এমবাপে-অ্যাঙ্গেল দি মারিয়ারা।
নামিদামি ফুটবলারদের ভিড়ে আলাদা করে অবশ্য নজর থাকবে পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানডভস্কি ও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারের উপর।
চলতি মৌসুমে নয় ম্যাচ খেলে প্রতিটিতে লক্ষ্যভেদ করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন লেভানডভস্কি। শেষ দুটি ম্যাচে পুরো ছন্দে না থাকলেও নিশানা ঠিকই ভেদ করেছেন। ফাইনালে দুবার জাল খুঁজে নিতে পারলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে (১৭) ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি।
কোয়ার্টার ও সেমিফাইনালে গোল না পেলেও নিজের সামর্থ্য ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন নেইমার। সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে ২০১৫-১৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতা তারকা একটিতে হয়েছিলেন ম্যাচসেরাও। ফাইনালে নিঃসন্দেহে তাকে স্বরূপে দেখার প্রত্যাশায় থাকবেন অগণিত পিএসজি ভক্ত।
রবার্ট লেভানডভস্কি (বায়ার্ন)
ম্যাচ- ৯
গোল- ১৫
অ্যাসিস্ট- ৬
ম্যাচসেরা- ৪
লক্ষ্যে শট- ৩২
মিনিট/গোল- ৫৩
নেইমার (পিএসজি)
ম্যাচ- ৬
গোল- ৩
অ্যাসিস্ট- ৪
ম্যাচসেরা- ২
লক্ষ্যে শট- ৬
মিনিট/গোল- ১৬৫।
Comments