সব দ্বিধা-ভয় সরিয়ে কাজে ফিরছি: কণা

করোনা মহামারি শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই ঘরবন্দি হয়ে নিজের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে ছিলেন সংগীতশিল্পী কণা। পাঁচ মাসের বেশি সময় তিনি ঢাকার বাড়ি ছেড়ে সেখানে ছিলেন। বাড়ি থেকে একদমই বের হননি।
Kona
সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কণা। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল

করোনা মহামারি শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই ঘরবন্দি হয়ে নিজের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে ছিলেন সংগীতশিল্পী কণা। পাঁচ মাসের বেশি সময় তিনি ঢাকার বাড়ি ছেড়ে সেখানে ছিলেন। বাড়ি থেকে একদমই বের হননি।

ঘরবন্দি এই সময়ে ঘরে থেকেই সচেতনতামূলক গান ও বেশকিছু ভয়েজওভারের কাজ করেছেন কণা। পাঁচমাস পর ঢাকায় ফিরে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে কণা বলেন, ‘এই পাঁচমাস গাজীপুরের বাড়ি থেকেই অনেকগুলো কাজ করেছি। কিন্তু, নিজের চেনা শহর ঢাকা ছেড়ে সেখানে থাকতে একটু কষ্টই হয়েছে। ঢাকায় অনেক ব্যস্ত দিনযাপন করতে হতো। সেখানে (গাজীপুর) তেমন একটা ব্যস্ততা ছিলো না। সবকিছুর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই যে পাঁচমাস পর আজ সাউন্ডবক্স স্টুডিও যাচ্ছি। যেখানে আগে মাসের বেশিরভাগ দিনই যাওয়া হতো। আজ আলাদা একটা অনুভূতি ছড়িয়ে রয়েছে আমার মধ্যে। এ জায়গাগুলোতে প্রতিদিন কতো মানুষের মুখোমুখি হতে হয়। বিষয়গুলো খুব মিস করি।’

‘এখন বাসার বাইরে বের হলেই মানুষগুলোকেই বেশি ভয় হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক,’ যোগ করেন তিনি।

গাজীপুর থেকে ঢাকায় ফিরে নতুন উদ্যমে গানের কাজ শুরু করার কথা উল্লেখ করে কণা বলেন, ‘এরইমধ্যে বাপ্পা মজুমদারবে সুরে চ্যানেল আইয়ের জন্য একটা গানে কন্ঠ দিয়েছি। এছাড়াও “সান্নিধ্যের গল্প” নামের একটি নাটকের গান গেয়েছি শানের সঙ্গে। এন আই বুলবুলের কথায় গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনাও করেছেন শান।’

‘বরষা’খ্যাত এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘সব দ্বিধা-ভয় সরিয়ে কাজে ফিরছি। করোনার কারণে ঘরে থাকতে থাকতে মনটা বিষন্ন হয়ে পড়ছে। সব বিষন্নতা মুছে দিতে কাজে মনোযোগী হওয়া দরকার এই সময়ে। বাকিটা দেখা যাক কী হয়।’

Comments

The Daily Star  | English

Price hike of essentials: Poor, middle class in a tight corner

Harunur Rashid, a retired government employee, was taken aback by the steep price rise of okra at the capital’s Karwan Bazar yesterday.

8h ago