৮৮২ কোটি টাকার ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে জাইকা

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেন জাইকা বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া। ২৩ আগস্ট ২০২০। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক ব্যবসার প্রসারে প্রায় ৮৮২ কোটি টাকা খরচে ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

এ প্রকল্পের আওতায় কৃষিভিত্তিক ব্যবসার উন্নয়ন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খাদ্য নিরাপত্তাখাতে কর্মরত প্রতিষ্ঠান ও শিল্প উদ্যোক্তাদেরকে স্বল্প সুদে অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হবে।

এর ফলে নিরাপদ ও গুণগতমানের খাদ্য সরবরাহের উদ্যোগ জোরদারের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন অভিষ্টের ১, ২ ও ৮ নং লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জাইকা বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া আজ রোববার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত বৈঠককালে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সলিম উল্লাহ, জাইকা বাংলাদেশ কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি কজি মিটুমরি, কর্মসূচি উপদেষ্টা রিউচি কাটসুকি, প্রোগ্রাম অফিসার মো. মেহেদি হাসান, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্টাকচারাল ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আনিসুজ্জামান অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন বলে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

এতে আরও বলা হয়, বৈঠকে ইউহো হায়াকাওয়া বলেন, ‘সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে অভ্যন্তরীণ এবং বর্হিবিশ্বে গুণগত মানসম্পন্ন ও নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। ফলে খাদ্য উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে গুণগতমান সুরক্ষা ও ফুড ভ্যালু চেইনের উন্নয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।’

‘বাংলাদেশের গ্রামীণ ও শহরের জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় একই সঙ্গে নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা ও যোগান বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষিভিত্তিক শিল্পখাতের উন্নয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে করোনার প্রকোপের মধ্যেই নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি বৃদ্ধি ও পণ্য বৈচিত্রকরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে’ বলেও মনে করেন তিনি। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে শিল্পমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন হায়াকাওয়া।

শিল্পমন্ত্রী জাইকাকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, কারিগরি প্রশিক্ষণের আধুনিকায়ন, খাদ্য ও খাদ্য সংশ্লিষ্ট শিল্পের অগ্রগতিতে জাইকা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।’

বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর পণ্য বৈচিত্রকরণে জাইকা উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

হুমায়ূন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য শিল্পের গুণগত মানোন্নয়নে গৃহীত ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হবে।’

‘এ প্রকল্প অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাদ্যশিল্পের উন্নয়ন ও এ দেশে বিশ্বমানের খাদ্য শিল্প কারখানা স্থাপনে ইতিবাচক অবদান রাখবে’ উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী আশা করেন, ‘এর ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে হালাল ও মানসম্মত খাদ্যপণ্য রপ্তানির সুযোগ জোরদার হবে।’

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

5h ago