ছয়শোর আরও কাছে অ্যান্ডারসন, ফলোঅনে পাকিস্তান
আগের দিনই টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। এদিন নেমেও মেলে ধরলেন স্যুইংয়ের পসরা। তাতে তাল হারিয়ে দিনের শুরুতেই বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। প্রাথমিক প্রতিরোধের পর ব্রেক থ্রো আনতে থাকেন ডম বেস, ক্রিস ওকসরাও। চরম বিপর্যস্ত পাকিস্তানকে বাকিটা সময় একাই টেনেছেন অধিনায়ক আজহার আলি। অপরাজিত সেঞ্চুরি করেও অবশ্য দলকে ফলোঅন থেকে বাঁচাতে পারেননি তিনি।
সাউদাম্পটনের এইজেস বৌলে তৃতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনও স্বাগতিকদের। ইংল্যান্ডের ৫৮৩ রানের জবাবে ২৭৩ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানকে ধসিয়ে ৫৬ রানে ক্যারিয়ারের ২৯তম ৫ উইকেট নেন অ্যান্ডারসন। প্রথম পেসার হিসেবে টেস্টে ছয়শও উইকেট পেতে আর মাত্র ২ উইকেট দরকার তার।
এদিকে দলের বিপর্যয়েও অধিনায়ক আজহার তার কাজটা করেছেন ঠিকভাবে। সেঞ্চুরির পর অ্যান্ডারসনের বলে জীবন পেলেও অপরাজিত থেকে যান ১৪১ রান করে। ইংল্যান্ড পাকিস্তানকে ফলোঅন করানোয় চতুর্থ দিনে ইনিংস হার এড়াতে নামবে আজহার আলিরা।
৩ উইকেট ২৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেই আরেক উইকেট হারায় পাকিস্তান। ছন্দ হারিয়ে ফেলা আসাদ ৫ রান করেই অ্যান্ডারসনের বলে স্লিপে রুটের হাতে জমা পড়েন। ৩০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।
পঞ্চম উইকেটে ১১ বছর পর ফেরা ফাওয়াদ আলমকে নিয়ে ইনিংস মেরামত শুরু করেন আজহার। দুজনে টিকেন বেশ কিছুটা সময়। তবে জুটিটা জমে উঠতেই ছন্দপতন। অফ স্পিনার ডম বেসের দারুণ লাফিয়ে উঠা এক বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ২১ রান করা বাঁহাতি ফাওয়াদ।
এরপর আসে আসল প্রতিরোধ। ছন্দে থাকা কিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে শতরানের জটি পান আজহার। ১৭তম সেঞ্চুরি পেরিয়ে যান আজহার, ফিফটি ছাড়ান রিজওয়ান। এই জুটিতেই একমাত্র ফলো-অন এড়ানোর আশা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু সময় মতই জুটিটি ভেঙ্গেছেন ওকস। তার বলে লেগ সাইডে ঠেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রিজওয়ান। বাদিকে লাফিয়ে সেই ক্যাচ নিয়ে ১৩৮ রানের জুটি ভাঙ্গতে অবদান রাখেন জস বাটলার।
এরপর টেল এন্ডারদের নিয়ে লড়ছিলেন আজহার। কিন্তু নতুন বল হাতে পেয়েই ইয়াসির শাহ, শাহীদ আফ্রিদিকে তুলে নেন স্টুয়ার্ট ব্রড।
বাকিটা দ্রুতই মুড়ে ফেলতে পারতেন অ্যান্ডারসন। কিন্তু তার বলে পড়েছে টানা তিন ক্যাচ। ১২৯ রানে থাকা আজহারকে কাবু করেছিলেন অ্যান্ডারসন। কিন্তু সহজ সেই ক্যাচ ছেড়ে দেন রোরি বার্নস। একই ওভারে মোহাম্মদ আব্বাসের ক্যাচ ছাড়েন জ্যাক ক্রলি।
অ্যান্ডারসনের পরের আব্বাসের একদম লোপ্পা ক্যাচ ছেড়ে দেন মিড অনে দাঁড়ানো ব্রড। তবে তড়িৎ রান আউট করে ক্ষতিটা কিছুটা পোষান তিনি। শেষ পর্যন্ত নাসিম শাহকে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে অ্যান্ডারসন নিতে পেরেছেন আরেকটি পাঁচ উইকেট।
Comments