এবারের গুঞ্জন ‘কিম কোমায়, দায়িত্ব নিচ্ছেন বোন!’
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ‘কোমায়’ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক কূটনীতিক চ্যাং সং-মিন। কিমের অনুপস্থিতে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তার বোন কিম ইয়ো জং— এমন দাবিও করেছেন তিনি।
গতকাল রোববার নিউইয়র্ক পোস্টের বরাত দিয়ে ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি কিম দায়ি-জুংয়ের সাবেক সহযোগী চ্যাং সং-মিন দেশটির গণমাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার নেতা ও সে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন।
সাবেক কূটনীতিক চ্যাংয়ের ভাষায়, ‘তিনি (কিম) এখনো মারা যাননি।’
চ্যাং আরও বলেন, ‘কিম-পরবর্তী রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়টি নিয়ে এখনো পুরোপুরিভাবে সিদ্ধান্ত আসেনি। যেহেতু কিমের শূন্যতা পূরণে দীর্ঘ সময় নেওয়া যাবে না তাই তার বোন কিম ইয়ো জংকে সামনে আনা হচ্ছে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ অ্যাজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, চ্যাং এমন সময় এই দাবি করলেন যখন দেশটির গোয়েন্দারা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার ৩৬ বছর বয়সী নেতা তার দায়িত্বের কিছু অংশ ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন। এই ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে তার বোন ইয়ো জংও রয়েছেন।
গত সপ্তাহে আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স সার্ভিস জানায়, ‘উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কারস পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ফার্স্ট ভাইস ডিপার্টমেন্ট পরিচালক ও কিমের বোন কিম ইয়ো জংকে সার্বিক রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের জন্যে তৈরি করা হচ্ছে। যদিও, এখনো তার ভাই কিমের হাতেই “সর্বময় কর্তৃত্ব” রয়েছে।’
তবে সাবেক কূটনীতিকের এই দাবিতে সন্দেহ রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, এর আগেও কিম দীর্ঘ সময় জনসম্মুখ থেকে দূরে ছিলেন। এর ফলে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বেশ জল্পনা-কল্পনা হয়েছিল।
গত এপ্রিলেও তিন সপ্তাহ কিমকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি বলে প্রচারিত হয়েছিল যে তার হার্ট সার্জারি হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সরকার কিমের অনুপস্থিতির কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
এরপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, কিম দেশটির রাজধানী শহর পিয়ংইয়ংয়ের কাছে একটি সার কারখানা পরিদর্শন করছেন। সে সময় দক্ষিণ কোরিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তা ফক্স নিউজকে বলেছিলেন, ‘আমাদের সরকার বিশ্বাস করে যে কিমের চিকিৎসা চলছে এমন কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।’
Comments