রেলপথে বেনাপোলে পণ্য আমদানিতে ১৫ দিনের কাজ হচ্ছে ৪ দিনে

বেনাপোলে ভারতের পণ্যবাহী কনটেইনার ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত

বেনাপোল স্থলবন্দরে পণ্য আমদানিতে গতি বেড়েছে। মহামারির মধ্যে রেলপথে ভারতের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ার পর স্থলবন্দরের সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে যে পণ্য আমদানি করতে ১৫ দিন সময় লাগত এখন তা মাত্র চার দিনে সম্ভব হচ্ছে।

পণ্য আমদানিতে গতি আসায় সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়েছে। বেনাপোল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক মো. সাইদুজ্জামান জানান, জুলাই মাসে রেলপথে পণ্য পরিবহন হয়েছে ৫১ হাজার ১২ টন, যা থেকে রেলের রাজস্ব আয় হয়েছে দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা। চলতি আগস্টের ২০ দিনে পণ্য পরিবহন হয়েছে ২৮ হাজার টন। রাজস্ব আদায় হয়েছে দেড় কোটি টাকা।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন তরফদার জানান, করোনার মধ্যে ভারতের পেট্রাপোলে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে নানাভাবে বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছিল। বাণিজ্য সচল করতে রেলপথে সব ধরনের পণ্য আমদানির ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আগে মালবাহী ওয়াগনে চাল, গম, পাথর, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্য আমদানি হতো। সেই পণ্য যশোরের নওয়াপাড়া গিয়ে খালাস করতে হতো। এখন রেল ওয়াগন, পার্সেল ভ্যান ও সাইড ডোর কার্গো রেলে সব ধরনের পণ্য আসছে এবং তা বেনাপোল বন্দরেই খালাস করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর সূত্রগুলো জানায়, করোনা মহামারিতে গত ২২ মার্চ রেল ও স্থলপথে বাণিজ্য বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। হঠাৎ বন্ধ ঘোষণার ফলে ওপারে আটকা পড়ে পাঁচ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক। এর পর পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পর বিকল্পভাবে রেলপথে শুরু হয় আমদানি।

বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকরা জানান, করোনার কারণে বন্দরে তিন মাস বাণিজ্য বন্ধ থাকায় তারা অর্থকষ্টে দিন পার করেছেন। এখন স্থলপথের পাশাপাশি রেলপথে পণ্য আমদানি বাড়ায় তারা খুশি।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, স্থলপথে পেট্রাপোল বন্দরে অবরোধ, ধর্মঘট ও ট্রাক আটকে চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছিল। ভারত থেকে একটি চালান আনতে অনেক ক্ষেত্রে এক মাসেরও বেশি সময় লেগে যেত। রেলপথে আমদানি করতে পারায় এখন আর সেই সমস্যা নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Police struggle as key top posts lie vacant

Police are grappling with operational challenges as more than 400 key posts have remained vacant over the past 10 months, impairing the force’s ability to combat crime. 

6h ago