বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে আনন্দে ভাসলে লজ্জার ব্যাপার: আমির সোহেল

ইংল্যান্ড সফররত পাকিস্তান দলের করুণ দশায় তুমুল সমালোচনায় মুখর হয়েছেন দলটির সাবেক অধিনায়ক আমির সোহেল। বর্তমান টিম ম্যানেজমেন্টের সমালোচনা করতে গিয়ে প্রাক্তন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের সর্বশেষ টেস্টের সাফল্যকে নেতিবাচক অর্থে টেনে এনেছেন।

ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে গিয়ে শুরুটা ভাল করলেও ক্রমশই মলিন হয়ে পড়ে আজহার আলির দল। প্রথম টেস্টে এক পর্যায়ে অনেকটা এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত হার মানে তারা। বৃষ্টিতে দ্বিতীয় টেস্ট ভেসে যাওয়ার পর তৃতীয় ও শেষ টেস্ট ছিল পাকিস্তানের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। কিন্তু এই টেস্টে উলটো ফলোঅনে পড়ে ইনিংস হারের মুখে তারা।

পাকিস্তানকে এমন বাজেভাবে খেলতে দেখে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রধান কোচ মিসবাউল হককে কাঠগড়ায় দাঁড় করান আমির,  ‘আপনাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কাজের জন্য, সেটা করে দেখাতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলো অনেকদিন থেকে পাকিস্তান দলে যারা কাজ করছে, তারা দেখানোর মতো কিছুই করতে পারছে না।’

গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে ইনিংস ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান।

আমির সোহেল সেই টেস্টের পারফরম্যান্সে পাকিস্তান আত্মতৃপ্তিতে ভুগছে বলে ইঙ্গিত করেন,  ‘বাংলাদেশের বা এরকম ছোটদলের বিপক্ষে জিতে… (একটু থেমে) অবশ্য বাংলাদেশ এখন আর ছোট দল নয়, ভাল হয়ে গেছে। তবু এদের বিপক্ষে জিতে আনন্দে ভাসলে তো লজ্জার ব্যাপার। সবার নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের ক্রিকেট এগিয়ে যাচ্ছে না। আধ কদম এগুলে ছয় কদম পেছনে যাচ্ছে।’

জেমস অ্যান্ডারসনের বলে ওপেনার শান মাসুদ কাবু হচ্ছেন একইভাবে। অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রডদের স্যুইংয়ে নাকাল হয়ে আসাদ শফিক, বাবর আজমদের দশাও একই। ৯০ দশকে পাকিস্তানের নিয়মিত এই সদস্য এসব ভুলের জন্য দায় দিচ্ছেন কোচদের,  ‘এসব দেখার দায় আসলে কার? কোচদের তবে কেন রাখা হয়েছে? হুল্লোড় করে ভ্রমণ করার জন্য? তাহলে আনন্দ করতে তাদের বিশ্ব ভ্রমণে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।’

‘মিসবাহর বোঝা দরকার সে কেন এই পদে আছে। কোন ব্যাটসম্যান বারবার একইভাবে আউট হলে তো মুশকিল। এটা তো হুশিয়ার সংকেত।’

Comments

The Daily Star  | English
BNP's stance on president removal in Bangladesh

BNP for polls roadmap in 2 to 3 months

Unless the interim government issues a roadmap to the next election in two to three months, the BNP may take to the streets in March or April next year, say top leaders of the party.

6h ago