অ্যান্ডারসনের কীর্তির টেস্টে পাকিস্তানকে বাঁচালো বৃষ্টি
ইংল্যান্ডের জয় আর জেমস অ্যান্ডারসনের ৬০০ উইকেট। পাকিস্তান নয় এই দুই লক্ষ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াল বিরূপ প্রকৃতি। শেষ পর্যন্ত প্রকৃতির বাধা সরিয়ে যেটুকু খেলা হয়েছে তাতে প্রথম পেসার হিসেবে টেস্টে ৬০০ উইকেটে মাইলফলক স্পর্শ করা হয়ে গেছে অ্যান্ডারসনের। তবে যথেষ্ট সময় হাতে না থাকায় অলআউট করা যায়নি পাকিস্তানকে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সাউদাম্পটনে তৃতীয় ও শেষ টেস্ট ড্র করেছে ইংল্যান্ড। বৃষ্টিতে দ্বিতীয় টেস্টও দেখেছিল হতাশার ড্র। তবে প্রথম টেস্ট জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে জো রুটের দল।
ফলোঅনে পড়া পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৮৭ রান তুলার পর ড্র মেনে নেয় দুদল, তখনো খেলার জন্য বাকি ছিল ঘন্টাখানেক। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৫৮৩ রানের জবাবে ২৭৩ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের বড় একটা অংশ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় অনেকটা এগিয়ে থেকেও জয় বের করতে পারেনি ইংল্যান্ড। পরিস্থিতির কারণে ইনিংস হার দেখতে থাকা পাকিস্তান বেঁচে যায় ওই প্রকৃতির সৌজন্যে।
সাউদাম্পটনের এইজেস বৌল মাঠে শেষ দিনে কেবল ২৭ ওভার খেলা হয়েছে। প্রথম দুই সেশনের অনেকটাই নষ্ট হওয়ার পর যখন খেলা শুরু হয় তখন আগের দিনের ২ উইকেটে ১০০ রান নিয়ে খেলতে থাকা পাকিস্তানকে অলআউটের যথেষ্ট সময় হাতে ছিল না।
শেষ দিনের একমাত্র ঘটনা অ্যান্ডারসনের প্রতীক্ষার অবসান। এই টেস্টেই ৬০০ স্পর্শ করতে ৭ উইকেট দরকার ছিল ডানহাতি এই কিংবদন্তি পেসারের। প্রথম ইনিংসে সুইংয়ের পসরায় ৫৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন পাকিস্তানকে।
দ্বিতীয় ইনিংসেই কীর্তি গড়তে যাচ্ছেন, তা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। চতুর্থ দিনে ৫৯৯ উইকেট নিয়ে একদম কিনারে পৌঁছে যান তিনি। কিন্তু চতুর্থ দিনের শেষ সেশন থেকেই শুরু হওয়া গোমরা আকাশ তাকে অপেক্ষায় রেখেছে লম্বা সময়। শেষ দিনে খেলা শুরু হওয়ার খানিক পর পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলিকে স্লিপে জো রুটের ক্যাচ বানান অ্যান্ডারসন। ঐতিহাসিক হয়ে যাওয়া বল হাতে নিয়ে উঁচু করে ধরেন। টেস্ট ইতিহাসে কোন পেসারের অমন কীর্তি যে আর নেই।
Comments