পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট পথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
বৈরী আবহাওয়ার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) ফরিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা ও যমুনা নদীতে উত্তাল ঢেউ। দুর্ঘটনা এড়াতে সকাল ৯টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে এলে আবার স্বাভাবিক লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। তবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক আছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে সময় কিছুটা বেশি লাগলেও পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। এই রুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে।’
আরিচা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার মুজিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আজ সকালে পদ্মা নদীতে ফেরির ঢেউয়ে একটি ট্রলার ডুবে গিয়েছিল। ট্রলারে থাকা তিন জনের মধ্যে দুই জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে শরীফ হোসেন (৩২) নামে এক ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ আছেন।
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে মালাবোঝাই একটি ট্রলার দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। নদীর মাঝপথে গিয়ে ওই ট্রলারটি একটি ফেরির ঢেউয়ে ডুবে যায়। এ সময় ফেরির লোকজনের সহয়তায় ট্রলারে থাকা দুজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে শরীফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ আছেন। আমাদের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে এবং গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর আশে পাশের এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
Comments