স্বল্প ঘনত্বের ওজোন গ্যাস করোনাভাইরাস নিষ্ক্রিয় করে: জাপানি গবেষণা

স্বল্প ঘনত্বের ওজোন করোনাভাইরাস নিষ্ক্রিয় করতে পারে বলে জানিয়েছেন জাপানের এক দল গবেষক।
ব্রিটেনে মুখে সুরক্ষা মাস্ক পরে হেঁটে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ফাইল ফটো রয়টার্স

স্বল্প ঘনত্বের ওজোন করোনাভাইরাস নিষ্ক্রিয় করতে পারে বলে জানিয়েছেন জাপানের এক দল গবেষক।

রয়টার্স জানায়, হাসপাতালে করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র জীবাণুমুক্ত করতে ওজোন গ্যাস ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

বুধবার, ফুজিটা হেলথ ইউনিভার্সিটির এক দল বিজ্ঞানী সংবাদ সম্মেলনে জানান, ০.০৫ থেকে ০.১ পার্টস পার মিলিয়ন (পিপিএম) ঘনত্বের ওজোন গ্যাসে ভাইরাসটি নিষ্ক্রিয় হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি, এই ঘনত্বের ওজোন মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকর নয়।

পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের নমুনা আছে এমন একটি বদ্ধ চেম্বারে ওজোন জেনারেটর ব্যবহার করে গবেষণাটি করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ ঘণ্টা স্বল্প ঘনত্বের ওজোনে রাখার পর ভাইরাসের সংখ্যা ৯০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

শীর্ষ গবেষক তাকাযুকি মুরাতা বলেন, ‘অবিচ্ছিন্নভাবে স্বল্প ঘনত্বের ওজোন সরবরাহ করলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমতে পারে। এমনকি যেসব পরিবেশে মানুষজন উপস্থিত থাকেন, সেখানেও এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব। আমরা উচ্চ আর্দ্রতার পরিবেশে এটি বিশেষভাবে কার্যকর বলে ধারণা করছি।’

ওজোন গ্যাস অক্সিজেনের তিনটি কণিকার সমন্বয়ে তৈরি হয় যা বিভিন্ন রোগজীবানু ধ্বংসে কার্যকর। এর আগে কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, উচ্চ ঘনত্ব- ১ থেকে ৬ পিপিএমের মধ্যে ওজোন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর তবে তা মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর।

জর্জিয়ার ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে সুরক্ষা গাউন, গগলস ও অন্যান্য চিকিত্সা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করতে ওজোন কার্যকর হতে পারে।

মধ্য জাপানের আইচি প্রদেশের ফুজিটা হেলথ ইউনিভার্সিটি করোনা সংক্রমণ কমাতে হাসপাতালের ওয়েটিং রুম ও রোগীদের ওয়ার্ডে ওজোন জেনারেটর স্থাপন করেছে।

Comments