ব্যালন ডি’অর তিনিই জিততেন, বললেন লেভানদভস্কি
স্বপ্নের মতো একটি মৌসুম কাটিয়েছেন রবার্ত লেভানদভস্কি। কী ব্যক্তিগত অর্জন, কী দলগত অর্জন! উভয়ক্ষেত্রেই দুহাত ভরে সাফল্য উপভোগ করেছেন বায়ার্ন মিউনিখের এই পোলিশ স্ট্রাইকার। সেকারণে ৩২ বছর বয়সী তারকা কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই বলেছেন, ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অরটা তিনিই পেতেন।
চলতি বছর ফুটবলারদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কারটি উঠছে না কারও হাতে। করোনাভাইরাসের কারণে গেল জুলাইতে ব্যালন ডি’অর না দেওয়ার ঘোষণা দেয় ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’। ১৯৫৬ সালে চালু হওয়ার পর ৬৪ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম প্রদান করা হচ্ছে না সম্মাননাটি।
‘ফ্রান্স ফুটবল’ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে লেভানদভস্কির কপাল পুড়েছে বললে দ্বিমত করার উপায় কোথায়? ২০১৯-২০ মৌসুমে ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দে দেখা গেছে তাকে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৭ ম্যাচে করেছেন ৫৫ গোল। ১৬ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পঞ্চাশ গোলের মাইলফলক পেরিয়ে গেছেন তিনি।
শুধু তা-ই নয়। যে কয়টি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন, প্রতিটিতে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন লেভানদভস্কি। জার্মান বুন্ডেসলিগায় ৩৪ গোল, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৫ গোল ও জার্মান কাপে ছয় গোল করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা নয় ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করারও কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি।
নজর দেওয়া যাক লেভানদভস্কির দলগত সাফল্যের দিকে। বার্সেলোনার পর ইউরোপের দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে দুবার ‘ট্রেবল’ জয়ের নজির গড়েছে তার ক্লাব বায়ার্ন। ২০১৯-২০ মৌসুমে বাভারিয়ানরা ঘরে তুলেছে বুন্ডেসলিগা, জার্মান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন লিগের শিরোপা।
সব দিক বিবেচনা করে অনেকের চোখেই লেভানদভস্কি ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অর জয়ের সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী ছিলেন। তিনি নিজেও তা-ই মনে করেন। নিজ দেশের গণমাধ্যম ওনেত’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই তারকা বলেছেন, যোগ্য খেলোয়াড় হিসেবেই জয়ী হতেন তিনি।
‘(সুযোগ থাকলে) নিজেকেই (ব্যালন ডি’অর দিতাম)। জেতার মতো যা যা ছিল, সব কিছুই আমরা (বায়ার্ন) জিতেছি। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছি আমি। আমি মনে করি, যদি কোনো খেলোয়াড় এত কিছু অর্জন করে, তবে তারই ব্যালন ডি’অর জেতা উচিত।’
Comments