ইসরাইলের উপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলো আমিরাত
ইসরাইলের উপর থেকে আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুই দেশের বাণিজ্যিক ও আর্থিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
আজ শনিবার বার্তা সংস্থা এপির সূত্র উল্লেখ করে আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।
গত ১৩ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতায় ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএম জানায়, আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নির্দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ডব্লিউএএম জানায়, নতুন আইনে ইসরাইল ও সে দেশের প্রতিষ্ঠান আরব আমিরাতে ব্যবসা করতে পারবে। এ ছাড়াও, এর মাধ্যমে ইসরাইলি পণ্য ক্রয় এবং ব্যবসারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ডব্লিউএএম জানায়, ‘আমিরাতের সঙ্গে ইসরাইলের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে এই নতুন আইনি বিধান আনা হয়েছে।’
‘এর মাধ্যমে যৌথ সহযোগিতার একটি রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে। যা অর্থনৈতিক বিকাশ এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
আগামী সোমবার ইসরাইলের পতাকাবাহী প্রথম সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট আবুধাবিতে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই ফ্লাইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারসহ মার্কিন ও ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বহন করা হবে।
আজ শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা আসার পরেই সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠনের পর ১৯৭২ সালের আইন গ্রন্থ থেকে এই আইনটি সরানো হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত-ইসরাইল চুক্তি ঘোষণার পরে ফিলিস্তিন গোষ্ঠীগুলো এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা দাবি করেছে, ফিলিস্তিনের পক্ষে আরব আমিরাত কিছুই করে না এবং তারা ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকারকে অবহেলা করে।
হামাস এই চুক্তির নিন্দা করে বলেছে, ‘এটা পেছন থেকে ছুরি চালানোর মতো বিশ্বাসঘাতকতা।’
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, ‘এই চুক্তি ফিলিস্তিনকে উপস্থাপন করে না, এটিতে ইহুদবাদীদের উপস্থাপন করা হয়েছে। চুক্তিটি ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার অস্বীকার এবং জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যেতে ইসরাইলকে উৎসাহিত করবে।’
মিশর ও জর্ডানের পরে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী তৃতীয় আরব জাতি হতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
Comments