দ্বৈত জাতীয় পরিচয়পত্র থাকায় সাবরিনার বিরুদ্ধে ইসির মামলা
দ্বৈত জাতীয় পরিচয়পত্র থাকায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মমিন মিয়া।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পারভেজ ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইসি ইতিমধ্যে সাবরিনার একটি এনআইডি ব্লক করেছে।
এর আগে, ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘সাবরিনার দ্বিতীয় এনআইডি পেতে কারা সাহায্য করেছিল, আমরা ইতিমধ্যে সে বিষয়ে তদন্ত করছি।’
ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ অনুযায়ী দুটি এনআইডি রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ। এর সর্বনিম্ন শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা অথবা উভয়।
ইসির এনআইডি শাখা জানায়, ২০০৯ সালে সাবরিনা প্রথমবারের মতো ভোটার হন। তখন তিনি তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা মোহাম্মদপুর এবং জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর, ১৯৭৮ উল্লেখ করেছিলেন।
ওই এনআইডিতে তিনি তার স্বামীর নাম এইচ হক এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর উল্লেখ করেছিলেন।
কিন্তু, ২০১৬ সালে করা তার দ্বিতীয় এনআইডিতে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা বাড্ডা উল্লেখ করেন। সেখানে তিনি জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩ ব্যবহার করেন।
সেখানে তিনি তার মায়ের নাম ও শিক্ষাগত যোগ্যতাও পরিবর্তন করেন।
ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘দুটি এনআইডি রাখায় এর আগে কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রেও আমরা কাউকে ছাড় দেব না।’
নকল কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট তৈরির মামলায় অভিযুক্ত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ড. সাবরিনা ও তার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরীর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তদন্ত চলাকালে দুদক জানতে পেরেছে যে সাবরিনার দুটি এনআইডি।
এরপর, কোনো ব্যক্তি দুটি এনআইডি রাখতে পারেন কি না তা জানাতে গত ১৯ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আক্তার মনি একটি চিঠিতে ইসিকে অনুরোধ করেন।
Comments