বিরতিতে ‘ব্যাকফুটে’ লিটন, তবে মরচে ধরেনি আত্মবিশ্বাসে
মার্চ মাসে হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে দারুণ ছন্দে ছিলেন লিটন দাস। চলতি বছরের ঠাসা সূচি সামনে রেখে আশার ছবি মিলছিল তার ব্যাটে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সব কিছুতে পড়ে অস্বাভাবিক ছেদ। তাতে ব্যাকফুটে থাকলেও নিজের আত্মবিশ্বাস তরতাজা দেখছেন তিনি।
গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে দুর্বার ছিল লিটনের ব্যাট। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে করেন দুই সেঞ্চুরি। যার একটিতে ১৭৬ রানের ইনিংস খেলে দেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের রেকর্ড গড়েন। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও করেন দুই ফিফটি। দুই সিরিজেই হন সেরা খেলোয়াড়।
চলতি বছর টানা খেলার সূচি থাকায় তার সামনেও ছিল বড় কিছুর সুযোগ। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সব পরিকল্পনাই হয়েছে ভণ্ডুল। অনেকগুলো খেলা বাতিল হয়েছে। অনুশীলন থামিয়ে লিটনদের বাড়িতে বসে কেবল ফিটনেস নিয়েই কাজ করতে হয়েছে।
পাঁচ মাস পর ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজের জন্য নিজেকে তৈরি করছেন তিনি। সোমবার সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন লিটন। অক্টোবরে হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য নিজেকে তৈরি রাখতে খাটছেন প্রতিদিন।
তবে লম্বা সময় খেলার মধ্যে না থাকায় সব কিছুই নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে বল মত তার, ‘একটা বিরতির কারণে হয়তোবা আমি ব্যাকফুটে আছি। শুধু আমি না বোলার বলেন, ব্যাটসম্যান বলেন যারা একাদশে থাকবে সবাই ব্যাকফুটে থাকবে কারণ অনেকদিনের একটা বিরতি।’
তবে সেই বিরতির ধাক্কা আগের সিরিজের জমা হওয়া আত্মবিশ্বাস দিয়ে পার করে দেওয়ার আশা তার, ‘আমার মনে হয় যে আগের যে সিরিজটা খেলেছি সেখানে একটা আত্মবিশ্বাস আছে অবশ্য অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নেই । কারণ প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, আউট হওয়ার জন্য একটা বলই যথেষ্ট যেটা আমি বিশ্বাস করি। এ জন্য প্রতিটি বলই মনোযোগ দিয়ে খেলতে হয়। আমি চেষ্টা করতেছি এখানে অনুশীলনে যেন ঐ মনোযোগটা নিয়ে আসতে পারি।’
‘আগের সিরিজটা যে মনোযোগ দিয়ে শেষ করেছি এই মনোযোগটা যেন মাঠে আবার ফিরিয়ে আনতে পারি। আমার মনে হয় মনোযোগ ও নিজের চ্যালেঞ্জটা যদি আবার নিতে পারি যে আমাকে ভালো কিছু করতে হবে তাহলে মনে হয় সম্ভব ভালো কিছু করা।’
Comments