গাজীপুরে উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল নিখোঁজ শিশুর বলে দাবি পরিবারের
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি ময়লার স্তূপ থেকে মানব কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। কঙ্কালটি নিখোঁজ সন্তানের বলে দাবি করেছে একটি পরিবার।
গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ময়লার স্তূপ থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।
কঙ্কালের পাশে থাকা হলুদ শার্ট, জিনসের প্যান্ট ও জুতা দেখে সেটি নিজের শিশু সন্তান সোহানের (১৪) বলে দাবি করেন একই এলাকার আব্বাস আলী ও তার স্বজনরা।
প্রায় এক মাস আগে নিখোঁজ হয় সোহান। সে ওই এলাকার আবুল প্রধান কিন্ডারগার্টেনের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
সোহানের বাবা আব্বাস আলী জানান, তার ছেলে সোহান গত ৩ আগস্ট বিকাল থেকে নিখোঁজ। এ ঘটনায় তিনি শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। মাসখানেক পেরিয়ে গেলেও তারা সোহানের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না। গতকাল সকালে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় মহাসড়কের পাশে ময়লার স্তূপে স্থানীয়রা একটি মানব কঙ্কাল দেখতে পান। সেখানে গিয়ে কঙ্কালের পাশে থাকা হলুদ শার্ট, জিনসের প্যান্ট ও জুতা দেখে তিনি সেটিকে তার সন্তান সোহানের কঙ্কাল বলে দাবি করেন।
সোহানের মা নাজমা বেগম জানান, গত ৩ আগস্ট বিকেলে স্থানীয় লিচুবাগান এলাকায় সোহান তার খালা সেলিনা বেগমের বাসায় যায়। পরে তার খালার কাছ থেকে ২০ টাকা নিয়ে পাশের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফেরেনি। তবে ওই দিন সন্ধ্যায় গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকার সফর উদ্দিনের ছেলে আজিজুল হকের সঙ্গে সোহানকে স্থানীয় ওয়ালটন মোড় এলাকায় দেখেছে বলে এলাকাবাসী তাদের জানিয়েছে।
শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে মানব কঙ্কালটি উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের সুপারিশও করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কঙ্কালটি নিখোঁজ সোহানের বলে দাবি করেছেন তার বাবা আব্বাস আলী। কঙ্কালটি প্রকৃতই সোহানের কিনা তা নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত আজিজুলের বিরুদ্ধে অনেক আগেই শ্রীপুর থানায় একটি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। ওই মামলায় সে জামিনে রয়েছে। স্থানীয়রা আজিজুলকে মাদকসেবী হিসেবেও অভিযুক্ত করেছে। কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা রুজুর পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।’
Comments