‘মেসি এখনও বার্সার খেলোয়াড়দের হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে আছেন’
ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কোনো কিছুর বিনিময়ে তার আর থাকার ইচ্ছা নেই। বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ তাতে অসম্মতি জানালেও একবিন্দু টলানো যায়নি লিওনেল মেসিকে। অনুশীলনে যোগ না দিয়ে নিজের অনড় অবস্থান খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। চুক্তির বিশেষ ধারা অনুসারে নিজেকে আর বার্সার স্কোয়াডের অংশও মনে করেন না আর্জেন্টাইন তারকা। তবে কাতালান ক্লাবটির খেলোয়াড়দের হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ চ্যাট থেকে এখনও ‘লিভ’ নেননি তিনি। সতীর্থদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন ৩৩ বছর বয়সী তারকা।
মেসি ক্যাম্প ন্যুর সঙ্গে দুই দশকের বন্ধন ছিন্ন করতে চাওয়ায় তৈরি হয়েছে অত্যাশ্চর্য পরিস্থিতি। সে সম্পর্কে বার্সেলোনার তরুণ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের মতামত জানতে চেয়েছিল বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। আলাপের এক পর্যায়ে মেসির হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ চ্যাটে থাকার তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
নেদারল্যান্ডস তারকা ডি ইয়ং স্বীকার করেছেন যে, অধিনায়ক মেসি ক্লাব ছাড়তে মনস্থির করায় স্প্যানিশ লা লিগার পরাশক্তিরা চরম অশান্তিতে রয়েছে। নিজ দেশের গণমাধ্যম এনওএসকে তিনি বলেছেন, ‘বর্তমানে বার্সেলোনায় জগাখিচুড়ি অবস্থা চলছে। অনেক রকমের অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। এটা একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। আমি নিজে (প্রস্থানের) এই বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো কথা বলিনি। ক্লাবের সঙ্গেও না। তাই আমি আসলেই জানি না যে ব্যাপারটা কেমন। তবে মেসি যদি সত্যিই বিদায় নেন, তবে এটা স্কোয়াড ও ক্লাবের জন্য হবে বিশাল এক ধাক্কা।’
আর্জেন্টিনায় শৈশব কাটলেও ২০০১ সাল থেকে বার্সাই হয়ে উঠেছিল মেসির আপন ঘর। ২০০৪ সালে ক্লাবটির বিখ্যাত যুব একাডেমি থেকে মূল দলে উঠে আসেন তিনি। বাকিটা ইতিহাস। সবার নখদর্পণে। ১৬ বছর আগে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অভিষেকের পর থেকে দশটি লা লিগা ও চারটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ এখন পর্যন্ত মেসি রেকর্ড ৩৩টি ট্রফি জিতেছেন বার্সার জার্সিতে।
উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচ খেলতে বর্তমানে জাতীয় দল নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে অবস্থান করছেন ডি ইয়ং। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ফক্স স্পোর্টসের কাছে তিনি বলেছেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি যে, আমি (ক্যাম্প ন্যুতে) ফিরে আসার পরও মেসি সেখানে থাকবেন। তবে এটা এমন একটা বিষয়, যা আমার হাতে নেই। তিনি এখনও (হোয়্যাটসঅ্যাপ) গ্রুপ চ্যাটে রয়েছেন।’
উল্লেখ্য, গেল ২৫ অগাস্ট বার্সার সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের ইতি টানার ঘোষণা দেন মেসি। এরপর থেকে চলছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা। চুক্তির একটি বিশেষ ধারা সক্রিয় করে কোনো ট্রান্সফার ফি ছাড়া দল ছাড়তে চান মেসি। তবে রিলিজ ক্লজের পুরো অর্থ (৭০০ মিলিয়ন ইউরো) না পেলে তাকে যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অবিচল বার্সা। দুই পক্ষের কেউই ছাড় না দিলে অবিশ্বাস্য এই সমস্যার সমাধান শেষ পর্যন্ত হতে পারে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে।
Comments