ইয়োশিহিদে সুগা জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?
স্বাস্থ্যগত কারণে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজে আবে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ায় পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান নির্বাচনে বেশ তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি এখন আর গোপনে নয়, অনেকটা প্রকাশ্যেই। বিরামহীন সিরিজ সভা চলছে দিনরাত।
এই দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজে আবের ডান হাত খ্যাত আবের মন্ত্রী সভার চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা। ২০১২ সালে আবে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে সুগা চিফ কেবিনেট সেক্রেটারির দায়িত্ব পান। তখন থেকেই তিনি আবের বিশ্বস্ত হয়ে ওঠেন।
সরকারের মুখ্যপাত্র হিসেবে প্রেস ব্রিফিং করায় জাপানি মিডিয়ার সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আলোচনায় আছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা; সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবাও।
শিগেরু ইশিবার প্রতি দলের ভেতরে যেমন একটা সমর্থন রয়েছে তেমনি বিরোধী দলের সদস্যদেরও কিছুটা সমর্থন আছে। তার অন্যতম কারন হচ্ছে ইশিবা প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে কয়েকটি ইস্যুতে আবেকে কাঠগড়ায় দাড় করাবেন। আবের অনেক গোপনীয় বিষয়াদি তিনি জানেন। আর এই বলে তিনি ডিপিজে (ডেমোক্রেটিক পার্টি অব জাপান) এবং বামদলগুলোর কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছেন। যদিও দলের মধ্যে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী তারো কোনো, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কিওইজুমির ছেলে ও পরিবেশমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেকো নোদা এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী তোমোমি ইনাদা আলোচনায় আসলেও শিনজিরো কোইজুমি নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে তারো কোনোকে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা পূর্বেই দিয়েছিলেন।
তারো কোনো প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার জন্য এখনো প্রস্তুত নন বলে জানান।
এদিকে সুগা এলডিপির সেক্রেটারি জেনারেল তোশিহিরো নিকাই’র সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। নিকাই তাকে সমর্থন দেয়ার ইঙ্গিত দেন। দলীয় প্রধান নির্বাচনে নিকাই নিজের সমর্থকদের নিয়ে সুগাকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়ে দেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী তারো কোনো শেষ পর্যন্ত তার সমর্থকদের নিয়ে সুগার পক্ষেই কাজ করবেন। কারন, আবে সেই লক্ষেই কাজ করছেন।
তাই, অনেকটা নির্ভরতার সঙ্গেই বলা যায় ইয়োশিহিদে সুগা-ই হচ্ছেন শিনযো’র উত্তরসূরি অর্থাৎ পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
জাপানের সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হন পার্লামেন্টের সংখ্যা গরিষ্ঠ দল থেকে। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলে তার দলীয় প্রধানের পদও চলে যায়।
Comments