মেসি-বার্সা আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি!
সবার দৃষ্টি ছিল বার্সেলোনা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউর সঙ্গে মেসির বাবা হোর্হে মেসির আলোচনার দিকে। ধারণা করা হয়েছিল এখানেই সিদ্ধান্ত হবে বার্সায় থাকছেন লিওনেল মেসি না-কি চলে যাচ্ছেন। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে তাদের আলোচনা। এমনটাই জানিয়েছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম এএস, স্পোর্ত ও মুন্দো দিপার্তিভো।
যদিও সভা শেষে কোনো পক্ষই নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজী হননি। তাতে মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে আরও।
বার্সেলোনার ক্লাব অফিসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে শুরু হয় এ সভা। চলে প্রায় দেড় ঘন্টা। তাতে মেসির প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন তার বাবা ও মুখপাত্র হোর্হে মেসি, ভাই রদ্রিগো মেসি এবং আইনজীবী হোর্হে পেকর্ত। আর বার্সেলোনা ক্লাবের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ ও বোর্ড সদস্য হ্যাভিয়ের বোর্দাস।
দুই পক্ষই নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেন। তবে তাতে সবাই নিজেদের সিদ্ধান্তে অনঢ় ছিলেন। ফ্রি ট্রান্সফারে ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারে কথা বলেন মেসির বাবা। তবে তাকে ক্লাবে রেখে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বার্তোমেউ। এমনকি নতুন করে আরও ২ বছরের জন্য চুক্তি করতে বলেন। এর বাইরে কেবল ৭০০ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করে তবে মেসি ক্লাব ছাড়তে পারবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে, নতুন করে আবার আলোচনায় বসবেন কি-না তাও জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে লিওনেল মেসির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন মেসির বাবা। তবে এ সমস্যার সমাধানে জন্য কোর্টে যাওয়াও অসম্ভব কিছু নয়।
গত মঙ্গলবার বুরোফ্যাক্স বার্তায় বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার কথা ক্লাবকে জানিয়ে দেন মেসি। তখন থেকেই নানা গুঞ্জন। সংবাদ আসে ১০ জুনের মধ্যে ক্লাব ছাড়ার কথা জানালে বিনা রিলিজ ক্লজে ছাড়তে পারবেন মেসি। আর চলতি মৌসুম দেরিতে শেষ হওয়ায় মেসির দাবী, সে সময়টা এখন ৩১ আগস্ট।
পরে জানা যায়, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, শেষ মৌসুমে রিলিজ ক্লজ কার্যকর হবে না মেসির। অর্থাৎ চাইলে এ মৌসুমে বিনা রিলিজ ক্লজে যেতে পারবেন বার্সা অধিনায়ক।
কিন্তু সব বিষয়ই পুরো উল্টো বলছে বার্সা কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবী, চুক্তি অনুযায়ী রিলিজ ক্লজের পুরো ৭০০ মিলিয়ন পরিশোধ করেই ক্লাব ছাড়তে হবে মেসিকে। এমনকি তাদের সঙ্গে সায় মিলিয়ে একই কথা বলে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। তাতেই জল ঘোলা হয় বেশি। এ কারণেই এ সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে আলোচনায় বসে দুই পক্ষ।
Comments