এক খাতের ঋণ অন্য খাতে ব্যবহার শৃঙ্খলা পরিপন্থি

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা থাকা স্বত্বেও গ্রাহকরা এক খাতের ঋণ অন্য খাতের ব্যবহার করছেন, যা ঋণ শৃঙ্খলা পরিপন্থি। কোনোভাবেই এটি করা যাবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে এক খাতের ঋণ অন্য খাতে ব্যবহার করলে সেটি রোধকল্পে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতেও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ বিষয়ক সার্কুলার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই সার্কুলার থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
সার্কুলারে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রণীত গাইডলাইন অন ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্টট (সিআরএম) ফর ব্যাংকসে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক গ্রাহককে যে উদ্দেশ্যে ঋণ প্রদান করা হয়েছে বা হবে, সে উদ্দেশ্যেই ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য বিআরপিডি সার্কুলার লেটারের (নম্বর-০২/২০১৭) মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। তা ছাড়া, বিআরপিডি সার্কুলার লেটারের (নম্বর-১০/২০১৮) মাধ্যমে কিস্তি ভিত্তিক প্রকল্প ঋণের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী কিস্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী কিস্তি ছাড়করণের জন্য এবং কোনো ঋণের অর্থ মঞ্জুরিপত্রে বর্ণিত খাতের পরিবর্তে অন্যত্র ব্যবহৃত হলে ব্যাংককে তার কারণ উদঘাটনসহ তা রোধকল্পে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, গ্রাহকের অনুকূলে প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ দ্বারা গ্রাহকের বিদ্যমান অন্য কোনো ঋণ বা বিনিয়োগে দায় পরিশোধ বা সমন্বয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। যা ঋণ শৃঙ্খলা পরিপন্থি। গাইডলাইন অন সিআরএম ফর ব্যাংকসের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিতকল্পে এ মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে যে, একটি ঋণ বা বিনিয়োগের অর্থ দিয়ে কোনোভাবেই অপর কোনো ঋণ বা বিনিয়োগের দায় পরিশোধ বা সমন্বয় করা যাবে না। অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পরিবীক্ষণ করার জন্যও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১’র ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
Comments