এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রাখার আশ্বাস জাপানের

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০২৪ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও জাপান বাংলাদেশকে দেওয়া বাণিজ্য সুবিধা (জিএসপি) অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে। এজন্য এফটিএ অথবা পিটিএ করা যেতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অফিস কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।

ইতো নাওকি বলেন, ‘জাপানের ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে। জাপানে দক্ষ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা আছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।’

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার। জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে আরও বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে।’

বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে উল্লেখ করে পাঁচ বছর চলমান বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এ গুলোতে জাপান বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। এখানে বিনিয়োগে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ জাপানের তৈরি গাড়ির বড় বাজার। বাংলাদেশে জাপান গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন করলে তা লাভজনক হবে।’

এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানান, ‘জাপান বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে। বাংলাদেশের আড়াইহাজার স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে, এ বিনিয়োগ হবে এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে জাপানে ১৩৬৫ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০০ অর্থবছরে ১২০০ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একইভাবে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে জাপান থেকে ১৮৫২ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে ১২৯৪ দশমিক ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

50m ago